নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
মোবাইলে অন্যের সঙ্গে হেসে কথা বলার ক্ষোভে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সেলিনা বেগমকে হত্যা করেন স্বামী ফয়েজ উদ্দিন। শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রিয়াজুল কাউছার ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দিতে এ স্বীকারোক্তি দেন তিনি।
শনিবার দুপুরে এ তথ্য জানান পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন।
পিবিআই জানায়, ফয়েজ উপজেলার কালিকাপ্রসাদ ইউনিয়নের ঝগড়ারচর গ্রামের মৃত মুসলিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি জুতা ব্যবসায়ী। সেলিনা একই উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ভাটি কৃষ্ণনগর গ্রামের জাহের মিয়ার মেয়ে। ২০ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়। তাদের তিন সন্তান। চলতি বছরের ৩১ জুলাই নিজ ঘরে ফয়েজের হাতুড়ির আঘাতে সেলিনার মৃত্যু হয়। সেলিনা অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। এ ঘটনায় পরদিন সেলিনার ছোট ভাই নাহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় ফয়েজকে।
২০ আগস্ট মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় পিবিআই কিশোরগঞ্জের এসআই আবু কালামকে। সেই মামলায় ফয়েজকে গত বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ২টার দিকে ঢাকার লালবাগ থানাধীন নবাবপুর রোডের ক্লাবপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
জবানবন্দিতে ফয়েজ উল্লেখ করেন, নিজ বাড়িতেই তার জুতার কারখানা। ঘটনার রাতে ফয়েজ চার ডজন জুতা সেলিনার কাছে এনে কাগজের প্যাকেট করার জন্য বলেন। এই কথা বলে ফয়েজ ঘর থেকে বের হয়ে যান। কিছুক্ষণ পরে এসে দেখেন, সেলিনা মোবাইলে হেসে হেসে কথা বলছেন। তখনো জুতার প্যাকেট করা হয়নি। এতে ফয়েজ ক্ষুব্ধ হন এবং কার সঙ্গে হেসে হেসে কথা বলছিলেন জানতে চান।
ফয়েজের ধারণা, সেলিনা কোনো পুরুষের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এই নিয়ে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে হাতে থাকা জুতা তৈরির কাজে ব্যবহৃত হাতুড়ি দিয়ে সেলিনার মাথায় আঘাত করেন তিনি।
Posted ৪:৩৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin