নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবার কোথায় ঘাটতি বা সীমাবদ্ধতা রয়েছে তা চিহ্নিত করার জন্য আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা হয়েছে। জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় সব ধরনের নাগরিক ভোগান্তি দূর করা হবে।
সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন বিষয়ে সার্বিক পর্যালোচনা বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
এলজিআরডিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে নিচ্ছেন। সব বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে বাংলাদেশ সবার কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় কোনো ভোগান্তি মেনে নেয়া যায় না।
সভায় জানানো হয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারের ক্যাপাসিটি কম থাকায় সেবা পেতে নাগরিকদের বিড়ম্বনার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। এ বিষয়ে ন্যারো গেটওয়ে সম্প্রসারণের নির্দেশ দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারের প্রতিদিন অন্তত ৫০ হাজার নিবন্ধন সম্পন্ন করার ক্ষমতা থাকা উচিত, যা বর্তমানে ১৭ হাজার রয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং কাউন্সিল, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, ডিপার্টমেন্ট অফ ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের সাতজন প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি আগামী সাতদিনের মধ্যে একটি রিপোর্ট উপস্থাপন করবে। এ কমিটি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় প্রযুক্তিগত সহায়তার জন্য পরামর্শ প্রদান করবে। এছাড়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবায় সার্ভারের ক্যাপাসিটি বৃদ্ধি, সফটওয়্যার ডিজাইন এবং ডাটাবেজ তৈরির পরামর্শ দেবে এ কমিটি।
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক প্রস্তাব রাখেন- কমিটির রিপোর্টের পর আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়কে প্রযুক্তিগত সহায়তা দেবে আইসিটি ডিভিশন।
সভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের অর্গানোগ্রাম বা লোকবল কাঠামোকে সময় উপযোগী করে গড়ে তোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এ সময় নাগরিক ভোগান্তি পরিহারে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সেবা চলমান রেখে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন সম্পূর্ণ করার নির্দেশ দেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী।
আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন- স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কার্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. রাশেদুল হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ।
Posted ২:২৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin