নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
বলিউডে ৫ দশকেরও বেশি সময়ের ক্যারিয়ার জীবন্ত কিংবদন্তী অভিনেত্রী রেখার। লম্বা এই সময়ে অসংখ্য অভিজ্ঞতা রয়েছে তার ঝুলিতে। তবে যে সুখময় নয়। এ অভিনেত্রীর এমনই বিব্রতকর এক অভিজ্ঞতা সম্প্রতি উঠে এসেছে।
পর্দায় পা রাখার পর মাত্র ১৫ বছর বয়সে নাকি প্রথমবার ‘চুমু’ খেয়েছিলেন রেখা। তাও আবার জোর করে। তাকে সেই ‘চুমু’ খেয়েছিলেন বাঙালি অভিনেতা বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাবা।
অভিনেত্রীর আত্মজীবনী ‘রেখা, দ্য আনটোল্ড স্টোরি’তে সেই গল্পই তুলে ধরা হয়েছে।
৬০-এর দশকে তৈরি সেই সিনেমার নাম ছিল ‘আনজানা সফর’। যদিও পরে নাম বদলে ‘দো শিকারি’ রাখা হয়। রেখা তখন খুবই ছোট। মাত্র ১৫ বছর বয়স।
রেখার আত্মজীবনী বলছে, ঐ সিনেমার শুটিংয়ের সময় পরিচালক কুলজিৎ পাল ও বিশ্বজিৎ রেখার সঙ্গে এক রোম্যান্টিক দৃশ্যের পরিকল্পনা করেন। যে বিষয়ে রেখা বিন্দুমাত্র অবগত ছিলেন না।
শুটিংয়ে পরিচালক ‘অ্যাকশন’ বলতেই রেখাকে কাছে টেনে বিশ্বজিৎ। অভিনেত্রীকে ‘চুমু’ খেতে শুরু করেন। যে ঘটনার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না রেখা। তাকে নিয়ে পরিচালক ও নায়ক মিলে এমন কিছু পরিকল্পনা করেছেন সেটাও ধারণা ছিল না। ফলে শুটিং স্পটেই কেঁদে ফেলেন তিনি। তবুও তার কথা কানে নেননি পরিচালক।
রেখার আত্মজীবনীতে বলা হয়েছে, সেই ‘চুমু’র স্থায়িত্ব ছিল নাকি ৫ মিনিট। ৬০-এর দশকে ঠোঁটে ‘চুমু’ মোটেও সহজ বিষয় ছিল না। এ নিয়ে সে সময় তৈরি হয়েছিল ব্যাপক আলোচনা। যদিও বহু বছর পর ২০১৮ সালে বিশ্বজিৎ দাবি করেছিলেন, এমন কিছু নাকি ঘটেনি। তার বক্তব্য ছিল, ছবিটিতে ‘চুমু’র দৃশ্য ছিল, সে কারণেই তিনি রেখাকে ‘চুমু’ খান।
Posted ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১১ অক্টোবর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin