নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমন ধানের বাম্পার ফলন পেয়েছেন দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার কৃষকরা। ফলে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠে দোল খাওয়া ধানের শীষে কৃষকেরা এখন ভালো দাম পাওয়ার আশায় রঙিন স্বপ্ন বুনছেন।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া ভালো থাকায় আমনের ভালো ফলন হয়েছে। এরই মধ্যে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটা হয়েছে। আরো ২০ হাজার হেক্টর জমির ধান কাটার উপযোগী রয়েছে। আশা করছি কৃষকরা ধানের ভালো দাম পাবেন।
সরেজমিনে দিনাজপুরের সদর, বিরল, চিরিরবন্দর ও পার্বতীপুর উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা গেছে, দিগন্তজুড়ে এখন শুধু আমন ধানের সবুজ-সোনালী সমারোহ। এ যেন মাঠজুড়ে কৃষকের সবুজ-সোনালী স্বপ্ন। ফলন ঘরে তোলার অপেক্ষায় কৃষকের মুখে এখন হাসির ঝিলিক। অধিকাংশ কৃষক এবার উচ্চ ফলনশীল ব্রি-ধান ৩৪, ৪৯, ৫৭, ৬২, ৯০, স্বর্ণা, সুমন স্বর্ণা, গুটি স্বর্ণা, বিনা-১৭ জাতের ধান রোপণ করেছেন। সদ্য মাড়াই করা কাঁচা ধান বিক্রি হচ্ছে ১২শ’ টাকা মণ হিসেবে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, দিনাজপুরে চলতি মৌসুমে দুই লাখ ৬০ হাজার ৮৪৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ বছর ফলনও ভালো হয়েছে। চাষিরা এরই মধ্যে ধান কেটে ঘরে তুলতে শুরু করেছেন।
বিরল উপজেলার পুরিয়া গ্রামের আদর্শ কৃষক মতিউর রহমান জানান, তিনি বিনা-১৭ ও ব্রি-৯০ জাতের ধান আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। বিনা-১৭ জাতের ধানে ফলন পেয়েছেন একর প্রতি ৬০ মণ। আর ব্রি-৯০ জাতের ধানে ফলন পেয়েছেন একর প্রতি ৪০ মণ।
সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের কৃষক সাজেদুর রহমান বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে ব্রি-ধান ৩৪ ও ৯০ জাতের ধান চাষ করেছি। ফলন ভালো হয়েছে।
বিরল উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তফা হাসান ইমাম জানান, উপজেলায় এবার আমনের ফলন খুব ভালো হয়েছে। সামান্য কিছু জমির ধান বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত জমির পরিমাণ ১০ হেক্টর মাত্র। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে সার্বিকভাবে ভালো ফলন হয়েছে বলেও জানান তিনি।
Posted ৯:৩৩ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin