নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ ও গলা কেটে হত্যার দায়ে রোকমান হোসেন নামে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) বেগম তানিয়া কামাল।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রোকমান হোসেন ওরফে লোকমান মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলার বড় কালিয়াকৈর গ্রামের আমোদ আলীর ছেলে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নিহত ছমিরন বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ও শারীরিকভাবে অসুস্থ হওয়ায় তার বাবার বাড়িতে আলাদাভাবে বসবাস করতেন। তাকে চলাফেরায় সহায়তা করতেন তার বৃদ্ধ মা নুরজাহান বেগম। প্রতিদিন রাতে ঘরের বাইরে থেকে তালা দিয়ে রাখতেন তার মা।
২০১৯ সালের ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ছমিরনের ছোট ভাইয়ের বউ সেবিকা আক্তার সুমি আত্মীয়স্বজনসহ বাস্তা আশ্রাফিয়া জামিয়াতুল মাদরাসায় ওয়াজ শুনতে যান। প্রতিদিনের মতো তার মা রাত ৮টার দিকে ছমিরনকে ঘরে শুইয়ে রেখে বাইরে তালা দেন। রাত পৌনে ১টার দিকে ওয়াজ শুনে বাড়িতে আসার পথে রাস্তায় রোকমানকে শরীরে রক্ত মাখা অবস্থায় দ্রুত হেঁটে যেতে দেখে সুমি বাড়িতে গিয়ে তার শাশুড়িকে বলেন তার ননদ কোথায়। তার শাশুড়ি দ্রুত ঘরে ঢুকে লাইট জ্বালিয়ে খাটের ওপর ছমিরনের গলা কাটা মরদেহ দেখতে পান।
এ ঘটনার ১৫-২০ মিনিট পরেই স্থানীয় ইউপি সদস্য আ. মজিদসহ স্থানীয়রা লোকমানকে আটক করে তাদের বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে সবার উপস্থিতিতে লোকমান ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী একেএম নূরুল হুদা রুবেল জানান, এ ঘটনায় ছমিরনের ভাইয়ের বউ সেবিকা আক্তার সুমি ঘটনার পরদিন (৬ ডিসেম্বর) সিংগাইর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। আজ মোট ১৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় দেন আদালত।
Posted ৯:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin