নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
লক্ষ্মীপুরে বসতঘরে কামাল হোসেন নামে এক অটোরিকশা চালকের দেওয়া আগুনে দগ্ধের চারদিন পর তার স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার মুন্নি মারা গেছেন।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ওসি তহিদুল ইসলাম ও বশিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান।
এর আগে, দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
জানা যায়, গত ২৮ নভেম্বর ভোররাতের দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বশিকপুর গ্রামের পুরান চতইল্লার বাড়িতে কামাল ঘরের ভেতর পেট্রোল ঢেলে আগুন লাগিয়ে দেন। তখন তার ছেলে আব্দুর রহমান, মেয়ে আয়েশা ও স্ত্রী মুন্নি ঘরে ঘুমিয়েছিলেন। ঘুমন্ত স্ত্রী-ছেলেমেয়েকে ঘরে রেখেই তিনি বের হয়ে বাইরে থেকে দরজা লাগিয়ে দেন। এতে আগুনে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে তার মেয়ে, ঢাকা মেডিকেলে ছেলে ও ঘটনার ৪ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্ত্রী মারা যান।
ঘটনার পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ অভিযুক্ত বাবা কামালকে আটক করে। একইদিন কামাল ঘটনার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন। ৩০ নভেম্বর মুন্নির বাবা গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে কামালের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলাতে কামাল লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারে আছেন। মামলাটিতে অজ্ঞাত আরো দুইজনকে আসামি করা হয়েছে।
বশিকপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান বলেন, কামাল মাদকসেবী ছিল। স্ত্রীর সঙ্গে তার পারিবারিক কলহ চলছিল। এরই জেরেই ঘরে আগুন লাগিয়ে স্ত্রী-সন্তানদের আটকে রাখেন। ওই আগুনেই দগ্ধ হয়ে তার ছেলে ও মেয়ে ঘটনার দিন মারা গেছে। ঘটনার চারদিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার স্ত্রী মুন্নিও মারা যান। মুন্নির মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে ময়নাতদন্তের করা হবে। সেখান থেকে মরদেহ তার বাবার বাড়িতে নিয়ে দাফন হবে।
পোদ্দার বাজার পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মাহবুবুর রহমান বলেন, কামালকে ঘটনার পরপরই আটক করা হয়। পরে হত্যা মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তিনি এখন জেলা কারাগারে রয়েছেন।
Posted ৫:১৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin