নিজস্ব প্রতিবেদক | সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে পড়তে শুরু করেছে শীত। নদী ও চা শিল্প এলাকা হওয়াতে এ জেলায় শীত বেশি হয়। সোমবার সকাল ৯টায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রোববার রেকর্ড করা হয়েছিল ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেল শাহ্।
আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্যানুযায়ী, ৩ ডিসেম্বর তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তার আগে ২ ডিসেম্বর ১৬ দশমিক ২ ও ১ ডিসেম্বর ১৫ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত তিনদিন ধরে তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। হিমালয় কন্যাখ্যাত জেলায় নভেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে শীতের আমেজ। দিন দিন তাপমাত্রা কমার সঙ্গে বাড়তে শুরু করেছে শীত।
দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিক থাকলেও বিকেল গড়ালেই হিমেল হাওয়ায় শীতের পরশ অনুভূত হয়। সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত বাড়তে থাকে শীতের প্রকোপ। ভোরে দেখা মেলে কুয়াশার চাদরে জড়িয়েছে প্রকৃতি। সে কুয়াশায় ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। শীত ঘিরে বেড়েছে শীতের পোশাকের চাহিদা।
এদিকে শীত ঘিরে বেড়েছে শীতজনিত রোগ। এসব রোগব্যাধি থেকে সুরক্ষিত থাকতে চিকিৎসকরা শীতে রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের বিধৌত এলাকা হওয়ায় অন্যান্য এলাকা থেকে এ জেলায় শীতের আগমন ঘটে আগে। যার কারণে নভেম্বর থেকেই শীতের আমেজ শুরু হয়। গত তিনদিন ধরে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। সোমবার সকালে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। যা দেশে সর্বনিম্ন। তবে গত রোববার সকালে ১৩ ও শনিবার ১৩ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।
Posted ৬:০৫ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin