এইচ,এম শহিদুল ইসলাম পেকুয়া(কক্সবাজার)প্রতিনিধি | মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়নে কলেজ ছাত্র আসহাবুল জিহাদকে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনায় ১২ জনের উল্লেখসহ ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নিহতের পিতা পেকুয়া সদর সিকদার পাড়ার বাসিন্দা মকসুদুল করিম প্রকাশ বাচ্চু বাদি হয়ে চকরিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কোনাখালীর মরংঘোনা স্টেশনে ডেকে নিয়ে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয় জিহাদকে।
মামলায় চকরিয়া উপজেলা কোনাখালী ছড়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা স্বীকৃত মোবাইল চোর সিন্ডিকেটের প্রধান আবদুল হাকিমের ছেলে মোঃ নোমানকে প্রধান আসামী করে ১২ জনের নামসহ আরো তিনজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী রাখা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বাদি জানান, জিহাদ কক্সবাজার সিটি কলেজে ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী। কোনাখালীর ছড়াপাড়ার নোমান থেকে ৩০হাজার টাকা পাওনা রয়েছে। ওই টাকা পরিশোধের জন্য বারবার তাগদা দেন নিহত জিহাদ। তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন নোমানসহ তার অনুগত বাহিনীর সদস্যরা। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় তাকে ফোন করে বাঘগুজরা ব্রীজে এসে টাকাগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য বললে রাত ৮টার দিকে ব্রীজের উপরে গেলে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে নিয়ে যায় সংঘবদ্ধ আসামীরা। রাত সাড়ে ৮টার দিকে বেশ কয়েকটি ছুরিকাঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করে অটোরিকশায় করে নিয়ে লাশ গোপন করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে স্টেশনের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা চিৎকার শুনে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে লাশ রেখে খুনিরা চলে যাওয়ার সময় ১জনকে আটক করতে সক্ষম হয়।
নিহতের পিতা মকসুদুল করিম জানান, আমার ছেলে খুবই মেধাবী ও ভাল মনের অধিকারী ছিলেন। খুনিরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। ছেলেকেতো আর ফিরে পাবোনা। এখন প্রশাসনের প্রতি আবেদন থাকবে আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তি নিশ্চিত করা হউক।
এদিকে ছাত্র জিহাদকে হত্যার ঘটনায় আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারেে দাবীতে মানববন্ধন করেছে পেকুয়া সরকারি জিএমসি উচ্চ বিদ্যালয়, শহীদ জিয়াউর রহমান কলেজ ও ২০১৭ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
চকরিয়া থানার ওসি শেখ মুহাম্মদ আলী মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মামলার আসামীরা যেখানেই থাকুক, তাদেরকে গ্রেফতার করা হবে।
Posted ৪:৫৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin