নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বড়দিন উপলক্ষে রাজধানীসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের গির্জাগুলোতে ও খ্রিস্টান অধ্যুষিত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। বড়দিন এবং থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কূটনৈতিক এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে।
মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বড়দিন ও থার্টি-ফাস্ট নাইট উদযাপন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে এ কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বড়দিন উদযাপন উপলক্ষে চার্চগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক আর্চওয়ে ও সিসি/আইপি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। চার্চগুলোর প্রবেশ পথে ভ্রাম্যমাণ দোকান ও নির্মাণ সামগ্রী থাকলে তা অপসারণ করা হবে। যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে ৯৯৯ নম্বরে কল আসামাত্র যাচাই করে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সহযোগিতা নিশ্চিত করা হবে।
তিনি বলেন, আগামী ২৪ ডিসেম্বর সকাল থেকে ২৬ ডিসেম্বর সকাল পর্যন্ত গির্জা নিকটবর্তী এলাকায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবে। এ সময় ঢাকাসহ সারাদেশের গির্জাগুলোর নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ থাকবে।
তিনি বলেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সেক্ষেত্রে থার্টি ফার্স্ট নাইটের দিন সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশের উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের গান-বাজনার আয়োজন করা যাবে না। থার্টি ফার্স্ট নাইট ও খ্রিস্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে বাঁশি বাজানো, পটকা ফোটানো বা আতসবাজি ফোটানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর থেকে ঢাকা মহানগরীসহ দেশের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানের রাস্তায় পুলিশের চেক পোস্ট বসানো হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, থাটি ফার্স্ট নাইটে মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার করে কেউ যেন রাস্তাঘাটে জন অসন্তুষ্টির কারণ ঘটাতে না পারে, সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার রোধে ২৮ থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হতে পারে।
Posted ৪:০৮ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin