নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা গ্রামে বৃদ্ধ সৈয়দ আলী (৭০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
সোমবার বিকেলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জয়পুরহাট জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নুরে আলম।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কালাই উপজেলার পুনট ইউনিয়নের শিকটা গ্রামের আকামদ্দিনের ছেলে হারুনুর রশীদ (৪০), আবু তালেব ফকিরের ছেলে (গ্রাম পুলিশ) সুজন মিয়া (২৩), মোবারক আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে ওয়াজেদুল (৩৫) ও মোহাম্মদ আলীর ছেলে নাজির হোসেন (৩৫)।
বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, নাজিরের দোকানে বসে পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৩০ নভেম্বর রাতে আসামি হারুন ধারালো ছুরি নিয়ে গাছ বেয়ে বৃদ্ধ সৈয়দ আলীর বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর মেইন দরজা খুলে দিলে সুজন এবং ওয়াজেদুল বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে দেখেন ঘরের দরজা খোলা ও লাইট জ্বালানো। তখন আসামিরা বৃদ্ধ সৈয়দ আলীর ঘরে গিয়ে দেখেন তিনি ঘুমিয়ে আছেন। তখন আসামিরা লাইটের সুইচ বন্ধ করতে গেলে ঘুম ভেঙে যায় বৃদ্ধ সৈয়দ আলীর। ঘরে কে এই বলে চিৎকার দিলে আসামি হারুন গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ফেলেন তারপর ওয়াজেদুল দুই পা এবং সুজন দুই হাত ধরে রাখেন।
তারপর হারুনের কাছে থাকা ধারালো ছুরি সুজনের কাছে দিয়ে ঘরে থাকা বাক্স ভাঙতে যান হারুন। বাক্সের লক ভেঙে দুই লাখ টাকা ও দলিল একটি ব্যাগে নিয়ে নেন। এ সময় সৈয়দ আলী চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে গ্রাম পুলিশ সুজন ভিকটিম সৈয়দ আলীর গলায় ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করলে কণ্ঠনালি কেটে যায়। মৃত্যু নিশ্চিত করতে আসামি সুজন আবারো বৃদ্ধ সৈয়দ আলীর গলার বাম পাশে ছুরি দিয়ে আঘাত করলে নিস্তেজ হয়ে পড়েন এবং মৃত্যু হয়। এরপর টাকা ও দলিলের ব্যাগ নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান আসামিরা।
গ্রেফতারের পর তাদের দেওয়া তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরি ও দলিলের ব্যাগ একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এছাড়া লুণ্ঠিত দুই লাখ টাকা আসামি সুজন ৭৫ হাজার, হারুন ৭৫ হাজার টাকা এবং ওয়াজেদুল ৫০ হাজার টাকা ভাগাভাগি করে নেন। আসামিদের কাছ থেকে ৬২ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ এবং বাকি টাকা তারা খরচ করেছে। আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা হবে জানানো হয়।
Posted ২:২৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin