নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় একটি বাসায় বিস্ফোরণে দগ্ধ চারজনের মধ্যে বৃদ্ধা সাহিদা খাতুন (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম জানান, সাহিদা খাতুনের শরীরের ৯৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।
এর আগে, শনিবার সকালে মুন্সীগঞ্জ শহরের ইদ্রাকপুর এলাকায় একটি ভবনের পঞ্চমতলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে রিজভী আহমেদ রাসেল (৪২), তার স্ত্রী রোজিনা বেগম (৩৫), সন্তান রাইয়ান আহমেদ (৩) ও রিজভী আহমেদের মা সাহিদা খাতুন (৬৫) দগ্ধ হন।
চিকিৎসক তরিকুল বলেন, রিজভীর শরীরের ১০ শতাংশ, রাইয়ানের ৮ শতাংশ ও রোজিনার ১২ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের সবারই মুখ ও শ্বাসনালি বেশি পুড়ে গেছে। সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
দগ্ধ রিজভী আহমেদ জানান, তারা চলতি মাসের ১ তারিখে মুন্সীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পাশেই একটি ভবনের পাঁচতলার বাসায় ভাড়া নেন। তিনি মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) প্রোগ্রাম অফিসার। আর তার স্ত্রী গৃহিণী।
রিজভী বলেন, রাতে স্ত্রী রোজিনা ছেলেকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। বাবা রজব আলী ভোরে ফজরের নামাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। মা সাহিদা খাতুন ভোরে রান্নার জন্য ওঠেন। রান্নাঘরে গ্যাসের চুলা জ্বালাতেই সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়। এ বিস্ফোরণের আগুনে মায়ের শরীর পুরোটাই পুড়ে যায়। এছাড়া ঘুমন্ত অবস্থায় আমরাও দগ্ধ হই।
রিজভীর বাবা রজব আলী জানান, ফজরের নামাজ পড়ে তিনি বাইরে হাঁটাহাঁটি করতে গিয়েছিলেন। বাসার ফেরার সময় শুনতে পান, তাদের বাসায় বিস্ফোরণে পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়েছেন। তখন তিনি দ্রুত বাসায় গিয়ে তাদের দগ্ধ অবস্থায় দেখতে পান। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসেন।
এদিকে বিস্ফোরণের কারণ অনুসন্ধানে মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেট মো. মাসুদুল আলমকে প্রধান করে সাত সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
Posted ১:৫৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin