নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
ভাগ্য ফেরাতে প্রায় একযুগ আগে প্রবাসে পাড়ি জমান হানিফ। সেই প্রবাসেই তার জীবনের অবসান হবে তা হয়তো কখনোই ভাবেননি হানিফ। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালামপুরের পোর্টসন এলাকায় নির্মাণাধীন ভবনের দেয়াল ধসে নিহত হন তিনি। তার মৃত্যুর খবরে পরিবারে চলছে শোকের মাতম।
বুধবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম। নিহত হানিফ মিয়া কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া পৌরসভার উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত ইসরাইল ভূঁইয়ার ছেলে।
জানা যায়, নিহত হানিফ মিয়ার স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। ছোটবেলায় বাবা-মাকে হারিয়ে ফুফুর বাড়িতে বড় হন হানিফ। পরিবারের অভাব-অনটনের কারণে হানিফ মিয়া পড়ালেখা করতে পারেননি। পরিবার পরিজন নিয়ে একটু সুখে থাকার আশায় প্রায় ১২ বছর আগে আত্মীয়-স্বজনদের থেকে ধারদেনা করে মালয়েশিয়ায় পাড়ি জমান হানিফ। তিনি সেখানের একটি কন্সট্রাকশন কোম্পানিতে নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতেন।
প্রতিদিনের মতো মঙ্গলবার রাত ৮টায় কাজ করার সময় নির্মাণাধীন দেয়াল ধসে নিহত হন তিনি। এ সময় তার সঙ্গে থাকা দুই সহকর্মী গুরুতর আহত হন। পরে মালয়েশিয়ায় ওই এলাকায় বসবাসরত হানিফের আত্মীয় সোহেল মোবাইলে তার মৃত্যুর খরবটি পরিবারের সদস্যদেরকে জানান।
খবর পেয়ে নিহত হানিফের স্ত্রী শিখা আক্তার, মেয়ে পপি ও ছেলে সিয়াম কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদের আহাজারিতে ভারি হয়ে উঠেছে পুরো এলাকায়। হানিফের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকারের প্রতি জোর দাবি জানান তার স্বজনরা।
পাকুন্দিয়া পৌরসভার মেয়র নজরুল ইসলাম আকন্দ বলেন, আমি ঘটনাটি শুনেছি। মালয়েশিয়ায় নিহত হানিফের মরদেহ দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সার্বিক সহযোগিতা করব।
Posted ১০:১৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin