নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
হজরত উসমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু মক্কার সম্ভ্রান্ত বংশের সন্তান ছিলেন। তার পারিবারিক ঐতিহ্য ছিল ব্যবসা বাণিজ্য করা। বেড়ে উঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনি পারিবারিক ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। প্রায় সময় তিনি ব্যবসার কাজে ব্যস্ত থাকতেন।
তার হাতে পারিবারিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক উন্নতি হয়। অল্প দিনেই তিনি আরবের সফল এবং ধনী ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। অঢেল ধন-সম্পদের কারণে তাকে মানুষজন গনি বলে ডাকতো। গনি অর্থ হলো ধনী।
তবে অঢেল ধন-সম্পদ থাকলেও উসমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুকে কখনো সম্পদের মোহ আচ্ছন্ন করতে পারেনি। সম্পদ নিয়ে তার মনে কোনো অহংকারবোধও ছিল না। ভোগ-বিশালের নেশাতেও মত্ত হতেন না তিনি।
উসমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু তার সম্পদ সমাজ-সেবামূলক কাজে ব্যয় করার চেষ্টা করতেন। গরিব-দুখীর প্রয়োজনে অকাতরে সম্পদ দান করতেন।
ইসলাম গ্রহণের আগে থেকেই তিনি অন্যায় কাজ ও পাপ-পঙ্কিলতা থেকে মুক্ত থাকতেন। তিনি সবসময় সত্য এবং ন্যায় কাজের কথা ভাবতেন। তিনি যখন ইসলামের আহ্বান শুনেছিলেন তখনই ইসলাম গ্রহণের প্রতি আগ্রহী হয়ে উঠেছিলেন। তার ইসলাম গ্রহণের ঘটনা এভাবে তুলে ধরেছেন আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানি (রহ.) তার আল-ইসাবাহ’ গ্রন্থে। ঘটনাটি উসমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহুর মুখেই শুনে আসা যাক-
উসমান রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, একদিন আমি পবিত্র কাবা-চত্বরে কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে বসে ছিলাম। এমন সময় কোনো এক ব্যক্তি এসে আমাকে খবর দিল যে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মেয়ে রোকাইয়াকে আবু লাহাবের ছেলে উতবার কাছে বিয়ে দিয়েছেন। যেহেতু রোকাইয়া রূপ-লাবণ্য ও ঈর্ষণীয় গুণ-গরিমায় স্বাতন্ত্র্যের অধিকারিণী ছিলেন, এ কারণে তাকে স্ত্রী হিসেবে পেতে আমার আগ্রহ ছিল প্রবল।
Posted ৬:০৬ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin