নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
কোনো ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে না পড়ায় এবার বরেন্দ্রভূমি রাজশাহীতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলনের সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয় বাজারেও চাঙ্গা আলুর দাম। এতে হাসি ফুটেছে বরেন্দ্রের ক্ষুদ্র আলু চাষিদের মুখে।
চাষিরা বলছেন, এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। সঙ্গে খরচও বেশি। আলুর দাম কমলে মাথায় হাত পড়তো। এবার আলুর দাম ভালো আছে। এতে খুশি চাষিরা।
চাষিরা বলছেন, গত অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে আগাম জাতের আলু বীজ রোপণ মৌসুম শুরু হয়। ৬৫-৭০ দিনে আগাম জাতের এ আলুর ফলন হয় ৪৫-৫০ মণ প্রতিবিঘা জমিতে। তারপর জমি থেকে আলু তুলে হাটে ও বাজারে বিক্রি শুরু হয় আগাম আলু। আমন ধান কেটে নামলা জাতের (পরে লাগানো) আলুর উৎপাদন বিঘা প্রতি ৮০ মণ থেকে ৯০ মণ পর্যন্ত ফলন হয়ে থাকে। দাম ভালো পাওয়ায় আগাম জাতের আলুতে কৃষককে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চাষিরা।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানিয়েছে, জেলায় এ বছর আলুর চাষ হয়েছে ৩৪ হাজার ৯৫৫ হেক্টর জমিতে। আর গত বছর আলুর চাষ হয়েছিল ৩৬ হাজার ৬৫১ হেক্টর জমিতে। তবে গত বছরের তুলনায় এই বছর আলুর চাষ ১ হাজার ৬৯৬ হেক্টর কমেছে। আর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১০ লাখ ২৬ হাজার ২১৩ মেট্রিক টন। রাজশাহীতে চাহিদার কয়েকগুণ আলু উৎপাদন হয়। এ কারণে যোগানে তেমন কোনো ঘাটতি হবে না বলে জানিয়েছে কৃষি দফতর।
তানোর উপজেলার চাঁনপুর এলাকার কৃষক আক্কাস আলী জানান, তার নিজের ১০ বিঘা জমিতে ডায়মন্ড জাতের আগাম আলুর বীজ চাষ করেছেন। বিঘা প্রতি ফলন হয়েছে ৬৫ মণ। তিনি বর্তমান বাজারে ২৩ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করছেন। ফলে তার বিঘাপ্রতি লাভ পাচ্ছেন ২০-২৫ হাজার টাকা।
তানোরের আলু চাষি কামরুল ইসলাম বলেন, প্রতি বিঘায় আলু উৎপাদনের খরচ বাদ দিয়ে কয়েক সপ্তাহ আগে যে দামে বিক্রি হয়েছে তাতে গড়ে ২০-২৫ হাজার টাকা লাভ হয়েছে। মৌসুমের শুরুতে এই অঞ্চলের কৃষকরা ৫২ টাকা কেজি দরেও আলু বিক্রি করেছেন। এখন প্রতি কেজি আলু ২৩ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ২৩ টাকা দরে বিক্রি করেও ভালো লাভ থাকছে।
রাজশাহী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোজদার হোসেন জানান, আলু ফলন ভালো হয়েছে। দামও ভালো আছে। কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন।
Posted ২:৪০ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin