মঙ্গলবার ২১শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভয়-আতঙ্কে ঘর ছেড়ে নির্ঘুম রাত কাটছে আশ্রয়কেন্দ্রে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট

ভয়-আতঙ্কে ঘর ছেড়ে নির্ঘুম রাত কাটছে আশ্রয়কেন্দ্রে

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারে চলছে তুমুল লড়াই। জান্তা সরকারের সঙ্গে বিদ্রোহী সশস্ত্র সংগঠন আরাকান আর্মির রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে সীমান্ত এলাকায়। টানা চারদিন ধরে চলছে গোলাগুলি। মর্টার শেল ও বিরামহীন গোলাগুলির শব্দে ঘুম নেই সীমান্তের কয়েক হাজার বাসিন্দার। ভয়-আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নির্ঘুম রাত পার করছেন তারা।

ওপারের যুদ্ধে ব্যবহৃত গোলাবারুদ, বোমা, মর্টার শেল এপারে স্থানীয়দের বসতভিটা, বাড়ির আঙিনায় এসে আঁছড়ে পড়ে। মর্টার শেল বিস্ফোরিত হয়ে এরই মধ্যে দুইজন নিহত ও এক শিশু আহত হয়েছে। এছাড়া গতকাল ওপার থেকে ছুটে আসা বুলেটের আঘাতে একজন আহত হয়েছেন।

মিয়ানমার সীমান্তে দুই গ্রুপে ক্যাম্প দখল নিয়ে তুমুল লড়াইয়ে সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি অবনতি ও স্থানীয় জনমানুষের নিরাপত্তাহীনতার কথা মাথায় রেখে বান্দরবান জেলার জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জরুরি ভিত্তিতে ঘুমধুম ইউনিয়নের সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনে যান। সেখানকার কঠিন পরিস্থিতি ও ভয়াবহতা দেখে সীমান্তে উত্তর ঘুমঘুম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন।

ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা ছৈয়দ নুর বলেন, এখন যতটুকু ভয় পাচ্ছে মানুষ, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও এত ভয় পায়নি। ওই সময় মানুষ সামনে থেকে যুদ্ধ করেছে। এখন সংঘর্ষ চলছে ওপারে, আমাদের করার কিছু নেই।

জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা মোতাবেক ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা জরুরি আশ্রয়কেন্দ্র স্থানীয়দের আশ্রয়কেন্দ্রে আসার জন্য কাজ করেছিলেন। সীমান্তবর্তী এলাকার ২৭টি পরিবারের ১২০জন সদস্য আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭, ৮, ৯ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত মহিলা মহিলা আসনের সদস্য ফাতেমা বেগম। আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয়া সীমান্ত এলাকার ২৭ পরিবারে ১২০ জনের জন্য রাতের খাবার ও কম্বল ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রাতে গোলার আওয়াজ শোনা যায়নি। সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা শান্ত রয়েছে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৬:৩৫ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]