নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
বুধবার তখন (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল। হাতে হ্যান্ডকাফ, সঙ্গে আছে পুলিশ। আদালতের গারদখানা থেকে বের হচ্ছেন বর। অন্যদিকে আদালতের বারান্দায় অপেক্ষায় আছেন কনেসহ উভয় পরিবারের সদস্যরা। দুই পরিবারের সম্মতিতে ভালোবাসা দিবসে আদালতের ক্যান্টিনে শুরু হয় বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী, পুলিশ ও আদালতের প্রতিনিধিরা।
এমন ঘটনা ঘটেছে ঝিনাইদহের আদালত চত্বরে। বিয়ের পর সেখানে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। ভালোবাসা দিবসে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের মামলায় জামিন পেতে এমন বিয়ে হয়েছে আদালতে। তবে বিয়েতে অনেক খুশি বর-কনেসহ দুই পরিবারের সদস্যরা।
আদালত জানায়, মহেশপুর উপজেলার জুকা গ্রামে আত্মীয়র বাড়িতে আসা-যাওয়ার সূত্র ধরে ওই গ্রামের স্কুলছাত্রী জেসমিন খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে পার্শ্ববর্তী গোপালপুর গ্রামের যুবক জুবায়ের হোসেনের। কয়েক মাস তাদের মোবাইলে প্রেম চলে। বিষয়টি জেনে যান পরিবারের সদস্যরা। জুবায়েরের সঙ্গে বিয়ে দিতে রাজি নয় স্কুলছাত্রীর পরিবার। ফলে গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর জেসমিনকে পালিয়ে বিয়ে করেন জুবায়ের। এ ঘটনায় ২৪ ডিসেম্বর মহেশপুর থানায় জুবায়েরসহ আরো চারজনের নামে অপহরণ মামলা করেন জেসমিনের বাবা। ওই মামলায় গ্রেফতার হন জুবায়ের। পরে বিষয়টি নিয়ে উভয় পরিবার মীমাংসা করে বিয়েতে রাজি হয়ে বুধবার আদালতে জুবায়েরের জামিন আবেদন করেন।
ঝিনাইদহের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. নাজিমুদৌলা পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করলে জামিন দেওয়া হবে বলে শর্ত দেন। সেই শর্তে রাজি হয়ে আদালতেই বিয়ে হয় জুবায়ের ও জেসমিনের। এ বিয়েতে খুশি বর ও কনের পরিবার।
বর জুবায়ের হোসেন বলেন, ভালোবাসা দিবসে আমার প্রিয় মানুষটাকে পেয়েছি এতেই আমি খুব খুশি। দুইমাস জেল খাটার পর তাকে পেলাম। আপনারা আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
মামলার আসামি পক্ষের আইনজীবী ইশারত হোসেন খোকন বলেন, আদালতের নির্দেশে ৫ লাখ টাকা কাবিনে উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়েছে। এটি একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা।
Posted ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin