নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় ভোররাতে ঘরে ঢুকে স্ত্রী-মেয়ে ও শাশুড়িকে কুপিয়ে জখম করেছে সাবেক স্বামী। এতে গুরুতর আহত দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
শুক্রবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমার নতুন বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। তবে ঘটনার পর পরই পালিয়েছেন অভিযুক্ত আমির হোসেন। তিনি জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর ইউনিয়নের এতিম আলী জমাদার বাড়ির সফি উল্যার ছেলে।
আহতরা হলেন- অর্জুনতলা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইদিলপুর গ্রামের ছমদ আলী মালের বাড়ির লোকমান হোসেনের স্ত্রী মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে ফাতেমা বেগম এবং নাতনি রাবেয়া আক্তার।
জানা যায়, সোনাইমুড়ী উপজেলার আমির হোসেনের সঙ্গে ২৬ বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় সেনবাগ উপজেলার ইদিলপুর গ্রামের ফাতেমা বেগমের। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে। তাদের সংসারে কলহ দেখা দিলে ৩ বছর আগে আমির হোসেন ও ফাতেমা বেগমের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়। এরপর ফাতেমা দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়ির পাশে বাড়ি করে বসবাস শুরু করেন।
শুক্রবার ভোরে ফাতেমা ও তার মা মাফিয়া নামাজ পড়তে উঠেন। এ সুযোগে আমির হোসেন আকস্মিক তাদের ঘরে ঢুকে দা দিয়ে এলোপাতাড়িভাবে সাবেক স্ত্রী ফাতেমা, শাশুড়ি মাফিয়া বেগম ও তার মেয়ে রাবেয়াকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে মাফিয়া বেগম ও ফাতেমা বেগমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাদের দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সেনবাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. হেলাল উদ্দিন জানান, বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়া হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Posted ৬:৫৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin