শোক , গৌরব ও অহংকারে আমার বর্ণমালা এই স্লোগান নিয়ে মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে ‘অমর একুশে ফেব্রুয়ারির ভাষা শহিদদের স্মরণে উত্তরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

আজ একুশে ফেব্রুয়ারি বুধবার রাজধানীর উত্তরা জাউজ বিল্ডিং আলাওল এভেনিউতে অবস্থিত উত্তরা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মনির হোসেনর সভাপতিত্বে দিনেই প্রথমে একুশের কর্মসূচি শুরু হয়। অমর একুশের ভাষা শহিদদের স্মরণে চিত্রাংকণ প্রতিযোগীতা, কবিতা আবৃত্তি,আলোচন ও দোয়ার মাধ্যমে দিন ব্যাপি নানান কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। দিনের প্রথম প্রহরে উত্তরার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা ও বিভিন্ন কোম্পানীর মালিক – শ্রমিকরা এবং উত্তরা বসবাসরত ব্যক্তিরা তাদের কোমলমতি শিশুদের নিয়ে পুশ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

আলোচনা সভায় বক্তারা অমর একুশের শিক্ষা, দেশের প্রতি ভাষা শহিদদের ভালোবাসা ও আত্নত্যাগের ইতিহাস বর্ননা করেন।
তিনি বলেন, বাঙালি জাতির জীবনে চিরভাস্বর একটি দিন মহান একুশে ফেব্রুয়ারি। এই দিনে মায়ের ভাষা বাংলার মর্যাদা রক্ষায় সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের মতো ভাষাসৈনিকরা রক্ত ঢেলেছিলেন রাজপথে। এদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে আমরা অমরতা পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, আজ আমরা বলতে পারি দস্যুকে, বর্বরকে এবং দাম্ভিককে: তোমরা আর আমাদের মারতে পারবে না। কেননা বরকত সালাম রক্তের সমুদ্র মন্থন করে আমাদের জীবনে অমরতার স্পর্শ দিয়ে গেছেন।

এসময় উত্তরার রাজনৌতিক, সুশুলসমাজ, আয়োজক কমিটির নের্তৃবৃন্দসহ সর্বস্তরের জনগন উপস্থিত ছিলেন।