নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
ভালো চাকরি ও মোটা অংকের বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে বাংলাদেশ থেকে লিবিয়া হয়ে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে পাঠানো হয় নিম্ন ও মধ্যবিত্ত অসহায় পরিবারের তরুণদের। কিন্তু তারা চাকরি পান না, উল্টো লিবিয়ার বিভিন্ন ক্যাম্পে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। তাদের জিম্মি করে পরিবারের কাছ থেকে নেয়া হয় চাঁদা। এরপরও থামছে না ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপের স্বপ্নে লিবিয়া যাওয়ার এ প্রবণতা।
সম্প্রতি বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। লিবিয়া থেকে ফেরত আসা ৫৫৭ জন বাংলাদেশির যাত্রা, গন্তব্য, অর্থ, নিপীড়ন ও উদ্ধার থেকে শুরু করে ৫০ ধরনের তথ্য বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।
গত ১০ বছর ধরে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে যাওয়া লোকজনের মধ্যে বাংলাদেশ শীর্ষ ১০-এ। লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে নৌকা ডুবে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে।
ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ বছরে নানা দেশের ২৫ লাখ মানুষ সাগরপথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে গিয়েছেন। এভাবে যেতে গিয়ে প্রায় ২২ হাজার মানুষ সাগরে ডুবে প্রাণ হারিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক বাংলাদেশি আছেন।
ইউরোপের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সমন্বয়ের দায়িত্বে থাকা ফ্রন্টেক্সের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশিরা লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে সবচেয়ে বেশি ইউরোপে প্রবেশে চেষ্টা করেন। এটি সেন্ট্রাল মেডিটারেনিয়ান রুট হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত এই পথে অন্তত ৭০ হাজার ৯০৬ জন বাংলাদেশি ইউরোপে প্রবেশ করেছেন।
Posted ৩:১৬ অপরাহ্ণ | শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin