রাজধানীর বেইলি রোডের বহুতল ভবন গ্রিন কোজি কটেজে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত ৪৬ জনের মধ্যে নারী ও শিশুসহ ৪২ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে তাদের মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা।

যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে- রাজধানীর কাকরাইলের ফৌজিয়া আফরিন ও তার বোন সাদিয়া আফরিন, মালিবাগের পপি রায়, পুরান ঢাকার দয়াগঞ্জের সম্পনা পোদ্দার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার আশরাফুল ইসলাম, আরামবাগের নাজিয়া আক্তার ও তার ছেলে আরাহাম মোস্তফা, পুরান ঢাকার বেচারাম দেউড়ির নুরুল ইসলাম, কুমিল্লার মুরাদনগরের সম্পা সাহা, নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার শান্ত হোসেন, মতিঝিলের মায়শা কবির ও তার বোন মেহেরা কবির, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রভাষক লুৎফুর নাহার করিম ও তার মেয়ে জান্নাতিন তাজরী নিকিতা, মাদারীপুরের কালকিনির মোহাম্মদ জিহাদ, যশোর সদরের কামরুল হাসান, ভোলা সদরের দিদারুল হক, মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার আতাউর রহমান, টাঙ্গাইলের মির্জাপুরের মেহেদী হাসান, কুমিল্লা সদরের নুসরাত জাহান, মুন্সিগঞ্জ সদরের জারিন তাসনিম, বাড্ডার জুয়েল গাজী, মালিবাগের রুবি রায় ও তার মেয়ে প্রিয়াঙ্কা রায়, খিলগাঁওয়ের তুষার হাওলাদার, বাসাবোর কে এম মিনহাজ উদ্দিন, পাবনার ফরিদপুরের সাগর, পিরোজপুর সদরের তানজিলা নওরিন, শেরপুরের শ্রীবরদীর শিপন, বরিশাল সদরের আলিসা, বুয়েটের শিক্ষার্থী নাহিয়ান আমিন ও লামিসা ইসলাম, বরগুনার মো. নাঈম এবং দ্য রিপোর্ট ডটকমের প্রতিবেদক অভিশ্রুতি শাস্ত্রী।

এ ঘটনায় এক পরিবারের ৫ জন মারা গেছেন। তারা হলেন- ইতালিপ্রবাসী সৈয়দ মোবারক কাউসার, তার স্ত্রী স্বপ্না আক্তার এবং তাদের তিন সন্তান সৈয়দা ফাতেমা তুজ জোহরা, সৈয়দা আমেনা আক্তার ও সৈয়দ আবদুল্লা। সৈয়দ মোবারক কাউসারের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুরে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায়, একই পরিবারের আরো তিনজনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে। তারা হলেন কক্সবাজারের উখিয়ার শাহজালাল উদ্দিন, তার স্ত্রী মেহেরুন নেসা জাহান ও তাদের সন্তান ফাইরুজ কাশেম জামিরা। শনিবার তাঁদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

যে চারজনের পরিচয় শনাক্ত হয়নি, তাদের মধ্যে দুজনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে এবং একজনের মরদেহ শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে রয়েছে। এছাড়া রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স হাসপাতাল থেকে পরিবারের কাছে একজনের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।