নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
পুলিশের সোর্স আসিফ হত্যা মামলায় পলাতক দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁওয়ে তাকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন- মো. আলমগীর ও মো. রাজিব। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর বাড্ডা ও যাত্রাবাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
শুক্রবার র্যাব-৩ এর এএসপি মো. শামীম হোসেন বলেন, ২০২১ সালে রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া এলাকায় পুলিশের সোর্স আসিফকে নৃশংসভাবে চাকু মেরে হত্যার ঘটনায় ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি আলমগীর ও রাজিবকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, হত্যা মামলার প্রধান আসামি জিন্নাত আলীর সঙ্গে মিলে গ্রেফতার হওয়া অভিযুক্তরা মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো। আধিপত্য বিস্তারের জন্য তারা অবৈধ অস্ত্র ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছিল। তাদের অবৈধ মাদক ব্যবসায় কেউ বাধা সৃষ্টি করলে তাদের ভয়-ভীতি দেখাতো। খিলগাঁও থানা পুলিশের সোর্স আসিফ আসামি জিন্নাত আলীর কয়েকজন সহযোগীকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। এতে আলমগীর ও রাজিবসহ তাদের গ্রুপের অন্যান্য সহযোগীরা ক্ষিপ্ত হয়ে আসিফকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২১ সালের ১৫ এপ্রিল খিলগাঁও থানাধীন মেরাদিয়া নয়াপাড়া এলাকায় প্রধান আসামি জিন্নাত এবং তার সহযোগী আলমগীর ও রাজিবসহ বেশ কয়েকজন অবস্থান নেয়।
এএসপি শামীম হোসেন বলেন, এরপর তারা আসিফকে মোবাইলে ডেকে নিয়ে আসে। আসিফ মেরাদিয়া নয়াপাড়ার সাকিবুল হাসান ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে পৌঁছালে আগে থেকে অবস্থান করা আলমগীর ও রাজিবসহ তার সহযোগীরা আসিফকে ঝাপটে ধরে ধারালো চাকু দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ সময় আসিফ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে আসামিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আহত অবস্থায় আসিফকে তার স্বজনরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই দুইজনের নাম উল্লেখ ও ৫/৬ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন।
র্যাব-৩ এর এ কর্মকর্তা বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত জিন্নাত আলী এবং তার এক সহযোগীকে ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করে র্যাব। পরবর্তীতে জিন্নাত জবানবন্দিতে গ্রেফতার আলমগীর এবং রাজিব এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে স্বীকার করে।
Posted ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin