নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪ | প্রিন্ট
ফেনী শহরের ট্রাংক রোডের পুরাতন জেলা কারাগারের সামনে বড় পর্দায় ব্রাজিল ও দক্ষিণ কোরিয়ার খেলা চলাকালে জসিমের সঙ্গে কয়েকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে কয়েকজন বন্ধু মিলে পেটে, পিঠেসহ এলোপাতাড়ি ছুরি দিয়ে তাকে আঘাত করা হয়। একইসঙ্গে কয়েকজন মিলে পেটানো হয়। এরপর তারা সেখান থেকে সরে পড়ে।
শনিবার দুপুরে আদালতে এভাবেই ঘটনার বর্ণনা দেন আলামিন নামে এক কিশোর। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দি রেকর্ড করেন সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইয়েদ মো. সাফায়েত। আলামিন শহরতলীর আলোকদিয়া এলাকার জামসেদ আলমের ছেলে।
জানা যায়, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর রাত ২টার দিকে ট্রাংক রোডে বড় পর্দায় খেলা দেখতে যায় জসিম। তার বাড়ি গাইবান্দা জেলার সুন্দরগঞ্জ থানার রামবেত গ্রামে। খেলার মধ্যাহ্ন বিরতির আগে ব্রাজিলের চর্তুথ গোল উদযাপনের সময় দর্শক সারিতে মাষ্টারপাড়া ও সহদেবপুর এলাকার ব্রাজিল সমর্থকদের ধাক্কাধাক্কি হয়। একপর্যায়ে জসিম উদ্দিন ও তার বন্ধু নাসির উদ্দিনকে ছুরিকাঘাত ও মারধর করা হয়। তাদেরকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে জসিমকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ ডিসেম্বর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় তার বাবা মো. কাফি বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনি পশ্চিম ডাক্তার পাড়ার শাহানুর কবির রিময়, পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার স্বপন, বারী, পশ্চিম মধুপুর এলাকার আব্দুল্লাহ, মাষ্টারপাড়া মুন্সিপুকুর পাড় এলাকার সম্রাট, একই এলাকার আলভি, মাস্টারপাড়া কেরানী বাড়ির শাওন হোসেন ইমনের নাম উল্লেখ করে ৬-৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ফেনী মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) কমল কুমার সাহা জানান, এ ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এদের মধ্যে আলভী নামে আরেক কিশোর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছিলো।
Posted ৮:৪৫ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ৩১ মার্চ ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin