নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
চার কুল ও আয়াতুল কুরসির ফজিলত আলোচনা করে শেষ করা যাবে না। তাই সংক্ষেপে চার কুল ও আয়াতুল কুরসি সম্পর্কে আলোচনা করা হলো-
আমরা নিয়মিত চার কুল ও আয়াতুল কুরসি পাঠ করলে আমাদেরকে জিন শয়তান থেকে ও খারাপ মানুষের কুদৃষ্টি এবং হিংস থেকে রক্ষা করা হবে।
বিভিন্ন যাদু ও কুপ্রভাব থেকেও চার কুল ও আয়াতুল কুরসির ফজিলত আমাদের রক্ষা করবে। ইনশাআল্লাহ।
মিম্নে চার কুল ও আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ ও অর্থসহ দেওয়া হলো-
প্রথম কুল: সূরা এখলাস-
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
اللَّهُ الصَّمَدُ
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
(১) কুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ।
(২) আল্লা-হুসসামাদ।
(৩) লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ।
(৪) ওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ।
প্রথম কুল সূরা এখলাসের অর্থ-
(১) বল, তিনিই আল্লাহ, এক-অদ্বিতীয়। (২) আল্লাহ কারো মুখাপেক্ষী নন, সকলেই তার মুখাপেক্ষী। (৩) তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও জন্ম দেওয়া হয়নি। (৪) আর তার কোনো সমকক্ষও নেই।
দ্বিতীয় কুল: সূরা আল ফালাক-
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ
مِن شَرِّ مَا خَلَقَ
وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ
وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ
وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
(১) কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিল ফালাক।
(২) মিন শাররি মা-খালাক।
(৩) ওয়া মিন শাররি গা-সিকিন ইযা-ওয়াকাব।
(৪) ওয়া মিন শাররিন-নাফফাসাতি ফিল-উকাদ।
(৫) ওয়া মিন শাররি হা-সিদিন ইযা-হাসাদ।
দ্বিতীয় কুল: সূরা আল ফালাক এর অর্থ-
(১) বল, ‘আমি আশ্রয় প্রার্থনা করছি ঊষার রবের কাছে, (২) তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে, (৩) আর রাতের অন্ধকারের অনিষ্ট থেকে যখন তা গভীর হয়, (৪) আর গিরায় ফুঁ – দানকারী নারীদের অনিষ্ঠ থেকে। ৫) আর হিংসুকের অনিষ্ট থেকে যখন সে হিংসা করে’।
তৃতীয় কুল: সূরা নাস-
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ
مَلِكِ النَّاسِ
إِلَـٰهِ النَّاسِ
مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ
الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ
যে কুমন্ত্রণা দেয় মানুষের অন্তরে
مِنَ الْجِنَّةِ وَالنَّاسِ
(১) কুল আ‘ঊযুবিরাব্বিন্না-স,।
(২) মালিকিন্না-স,।
(৩) ইলা-হিন্না-স।
(৪) মিন শাররিল ওয়াস ওয়া-সিল খান্না-স।
(৫) আল্লাযী ইউওয়াসবিসুফী সুদূরিন্নাছ-।
(৬) মিনাল জিন্নাতি ওয়ান্না-স।
তৃতীয় কুল সূরা নাস এর অর্থ-
(১) বলো, ‘আমি আশ্রয় চাই মানুষের রব। (২) মানুষের অধিপতি। (৩) মানুষের ইলাহ-এর কাছে। (৪) কুমন্ত্রণাদাতার অনিষ্ট থেকে, যে দ্রুত আত্মগোপন করে। (৫) যে মানুষের মনে কুমন্ত্রণা দেয়। (৬) জিন ও মানুষ থেকে।
চতুর্থ কুল: সূরা কাফিরুন-
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
(১) কুল ইয়াআইয়ুহাল কা-ফিরূন।
২) লাআ‘বুদুমা-তা‘বুদূন।
৩) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
৪) ওয়ালাআনা ‘আ-বিদুম মা-‘আবাত্তুম।
৫) ওয়ালাআনতুম ‘আ-বিদূনা মাআ‘বুদ।
৬) লাকুম দীনুকুম ওয়ালিয়া দীন।
চতুর্থ কুল সূরা কাফিরুন এর অর্থ-
(১) বলো, ‘হে কাফিররা, (২) তোমরা যার ‘ইবাদাত কর আমি তার ‘ইবাদাত করি না’। (৩) এবং আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী নও’। (৪) ‘আর তোমরা যার ‘ইবাদত করছ আমি তার ‘ইবাদাতকারী হব না’। (৫) ‘আর আমি যার ‘ইবাদাত করি তোমরা তার ‘ইবাদাতকারী হবে না’। (৬) ‘তোমাদের জন্য তোমাদের দীন আর আমার জন্য আমার দীন’।
আয়তুল কুরসি-
اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
বাংলা উচ্চারণ: আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়্যুল ক্বাইয়্যুম। লা তা’খুযুহু সিনাতুঁ ওয়ালা নাঊম। লাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতি ওয়ামা ফিল আরদ্বি। মান যাল্লাযী ইয়াশফাউ’ ই’ন্দাহূ ইল্লা বিইজনিহি। ইয়া’লামু মা বাইনা আইদিহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহিতূনা বিশাইয়্যিম্ মিন ‘ইলমিহি ইল্লা বিমা শা-আ’ ওয়াসিআ’ কুরসিইয়্যুহুস্ সামা-ওয়া-তি ওয়াল আরদ্বি, ওয়ালা ইয়াউ’দুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল ‘আলিইয়্যুল আ’জিম। (সূরা আল-বাকারা আয়াত-২৫৫)
অর্থ: আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোনো উপাস্য নেই। যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক। কোনো তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে না। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে সবকিছু তারই মালিকানাধীন। তাঁর হুকুম ব্যতিত এমন কে আছে যে, তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেন। তাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেন তা ব্যতিত। তাঁর কুরসি সমগ্র আসমান ও জমিন পরিবেষ্টন করে আছে। আর সেগুলোর তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না। তিনি সর্বোচ্চ ও মহান’।
Posted ৬:২৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৪ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin