শনিবার ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রূপপুরে আরেক স্বপ্ন পূরণের পথে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২ | প্রিন্ট

রূপপুরে আরেক স্বপ্ন পূরণের পথে

দেশবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্প। সে প্রকল্পের কাজ অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের দুটি ইউনিটের কাজের গড় অগ্রগতি ৫১ শতাংশ। প্রথম ইউনিটের সার্বিক কাজের অগ্রগতি ৭০ শতাংশ আর দ্বিতীয় ইউনিটে অগ্রগতি হয়েছে ৪৫ শতাংশ। এখন পর্যন্ত খরচ হয়েছে ৫৫ হাজার ৭১৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। যা মোট বরাদ্দের প্রায় ৫০ শতাংশ।

২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার আশা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ এ প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট এবং একই পরিমাণ বিদ্যুৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে পাওয়া যাবে ২০২৫ সালে। ফলে স্বপ্ন পূরণের পথে আরো এক ধাপ এগিয়ে দেশ।

অর্ধ শতাব্দীর সুদীর্ঘ প্রতীক্ষা শেষে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ২ ফেরুয়ারি পাবনা সফরকালে এ প্রকল্পর কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। ওই বছরই মস্কোর ক্রেমলিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দ্বিপক্ষীয় শীর্ষ বৈঠকে এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দুটি অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

এর আগে ২০১২ সালের ২ নভেম্বর রাশিয়ার সঙ্গে চূড়ান্ত সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে । ২০১২ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক ও ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এতে রাশিয়া প্রি-কনস্ট্রাকশন কাজের জন্য ঋণ দেয় ৫০ কোটি ডলার।

ষাটের দশকে প্রকল্পটি হাতে নিলেও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে এই প্রকল্পটি চালু হয়নি। আওয়ামী লীগ গত মেয়াদে সরকার গঠনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পটি বাস্তবায়নে বিশেষ উদ্যোগ নেন। ২০১০ সালের মে মাসে বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় রুপরেখা চুক্তি। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে একই বছরের জুনে একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্নধাপ পেরিয়ে পরের বছরের ২ নভেম্বর চূড়ান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

সর্বশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৫ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাশিয়া সফরকালে সরকার প্রধান পর্যায়ে দুটি অর্থনৈতিক চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি এ প্রকল্পর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর জানান, করোনার মধ্যে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ চলেছে রূপপুরে। বন্ধ থাকেনি এক দিনের জন্যও। করোনাকালীন কিছুটা গতি কমলেও নতুন বাস্তবতায় লোকবল বাড়িয়ে এগিয়ে চলছে প্রকল্প। ২০২৩ সালে প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষ্যে কাজ চলছে।

১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি খরচের এই প্রকল্পে নব্বই ভাগ টাকা ঋণ দিয়েছে রাশিয়া। একই সঙ্গে আন্তঃরাষ্ট্রীয় কয়েকটি চুক্তির মাধ্যমে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করছে রুশ ঠিকাদার এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট। বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পাশাপাশি এটি পরিচালনার জন্য জনবলও তৈরি করে দিচ্ছে রাশিয়া। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০২৩ এ প্রথম ইউনিট থেকে ১২০০ মেগাওয়াট এবং একই পরিমাণ বিদ্যুৎ দ্বিতীয় ইউনিট থেকে পাওয়া যাবে ২০২৫ সালে।

বদলে যাওয়া হাওয়া : দেশের আর পাঁচটি প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রামের মতই ছিল পাবনা জেলার ঈশ্বরদীর রূপপুর। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ শুরুর পর গত কয়েক বছরে সেখানে গড়ে উঠেছে নানা অবকাঠামো। পাশাপাশি রুশভাষাভাষী কয়েক হাজার বিদেশি কর্মীদের অবস্থানে সেখানকার অর্থনীতি ও জীবনযাত্রায় প্রভাপ পড়েছে রাশিয়ার ভাষা ও সংস্কৃতির।

পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ সেতুর পাশেই নদী তীরে চলছে এক লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে দেশের সবচেয়ে মেঘা প্রকল্পের কাজ। পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের কর্মযজ্ঞ শুরুর পর থেকে বদলে যেতে থাকে এলাকার চিত্র। ফলে পাবনার রূপপুর যেন একখন্ড ‘রাশিয়া’। পাল্টে গেছে জীবনযাত্রার মান।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কল্যাণে এলাকার দৃশ্যপট পুরোটাই পাল্টে গেছে। এলাকার-বিপণিবিতান, বিদ্যালয়, সুউচ্চ ভবন, আন্তর্জাতিক মানের হোটেল-রেস্টুরেন্ট, রিসোর্ট এখন মুখরিত। এখানকার কাঁচা বাজারগুলোতেও যেন রাশিয়ানদের ছোঁয়া লেগেছে। এর বাইরে চারপাশে গড়ে ওঠা হোটেল, রিসোর্ট, বিপণিবিতানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেও কর্মসংস্থান হয়েছে হাজারো কর্মহীন মানুষের। বিদেশি নাগরিকদের কেনাকাটাসহ দৈনন্দিন নানা প্রয়োজন মেটাতে পাকশী, সাহাপুর, রূপপুর ও ঈশ্বরদী শহরে গড়ে উঠেছে একাধিক বিপণিবিতান, আধুনিক শপিংমল, সুপার শপ, রিসোর্ট ও তারকা হোটেল। উন্নতমানের হাসপাতালও নির্মাণ করা হয়েছে। শুধু কী তাই, রূপপুর প্রকল্পে কাজের সুযোগ পেয়েছেন কয়েক হাজার বেকার যুবক। তাদের ভাগ্য যেমন বদলে গেছে, তেমনি বদলে গেছে সামাজিক চিত্রও।

ঈশ্বরদী উপজেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ কিরণ বলেন, বেকারত্ব দূর হওয়ায় গ্রামে এখন আর সে পরিবেশ নেই। পারিবারিক, সামাজিক শৃঙ্খলা ফিরেছে। সব মিলে রূপপুর এখন যেন রুশ নগরীতে পরিণত হয়েছে।

ঈশ্বরদী পৌরসভার মেয়র ইসহাক আলী মালিথা বলেন, হাজারো মানুষের কর্মসংস্থানে এলাকার আর্থসামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়েছে। শুধু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে না, এখানে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছে।

ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবীর জানান, প্রায় ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই উপজেলায় ১০০ কিলোমিটার পাকা সড়ক নির্মিত হয়েছে। নতুন করে ঈশ্বরদীতে ২৬ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হয়েছে। এই কয়েক বছরে যতটা উন্নয়ন হয়েছে বিগত ৫০ বছরেও এমন কাজ হয়নি।

পশ্চিম রেল পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহিদুল ইসলাম জানান, রূপপুর প্রকল্পের ভারী যন্ত্রপাতি রেলপথে আনা-নেওয়ার জন্য ৩৩৫ কোটি টাকা খরচে ২৬ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মিত হয়েছে।

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের পরিচালক ড. শৌকত আকবর জানান, এই প্রকল্পে দেশি-বিদেশি ২৫ হাজার প্রকৌশলী-শ্রমিক সর্বদা কাজ করছেন। রাশিয়া, বেলারুশ ভারতসহ বিভিন্ন দেশের প্রায় দুই হাজার বিদেশি শ্রমিক ও কর্মকর্তারা দিনরাত পরিশ্রম করছেন। বাকিরা এ দেশের।

এদিকে, ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর রাশিয়ার সহায়তায় পাবনার রূপপুরে নির্মিত দেশের একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎ চুল্লিতে স্থাপন করা হয় নিউক্লিয়ার রি-অ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কাজের উদ্বোধন করেন।

রূপপুর কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের জন্য এই রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেলটি রাশিয়া থেকে জলপথে ১৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ২০২০ সালের অক্টোবরে দেশে পৌঁছে। সেটি স্থাপনের জন্য এক বছর প্রয়োজনীয় বিভিন্ন অবকাঠামো প্রস্তুত করা হয়। রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যেখানে মূল জ্বালানি থাকে। সেখান থেকেই বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়ে থাকে।

রাশিয়ান কোম্পানি রোসাটম জানান, পারমাণবিক চুল্লি পাত্রটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন। এই চুল্লি কৃষ্ণ সাগর ও সুয়েজ খাল পাড়ি দিয়ে মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। সেখান থেকে নৌপথে ঈশ্বরদীর পাকশীর পদ্মা নদী হয়ে রূপপুরে আনা হয়। রিয়াক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপনের পরপরই গত বছরের নভেম্বরে স্থাপন করা হয় স্টিম জেনারেটর। স্টিম জেনারেটরের মাধ্যমে প্রথম ইউনিটে সব ধরনের নিউক্লিয়ার যন্ত্রপাতি বসানো শেষ হয়।

লাভজনক ও ভ্যালু অ্যাডেড প্রকল্প : ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত দেশে পরিণত হওয়ার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। উন্নত সমৃদ্ধশালী দেশে পরিণত হতে হলে বাংলাদেশকে এই সময়ের মধ্যে প্রায় ষাট হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপন্নের ক্ষমতা অর্জন করতে হবে। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে তিন মেগা বিদ্যুৎ প্রকল্পের কাজ। এর মধ্যে অন্যতম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র (আরএনপিপি)। শুধু নিউক্লিয়ার ক্লাবেই প্রবেশ নয়, কেন্দ্রটি বিশ্বে বাংলাদেশকে অন্যভাবে পরিচিত করিয়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমদানি নির্ভর জ্বালানি থেকে তৈরি বিদ্যুতের অনিশ্চয়তার ঝুঁকি কাটবে। এর ফলে নিশ্চিত হবে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা। কেন্দ্রটি একটানা ভালভাবে ৫০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। আর এটি সংস্কার করে আরো ৩০ বছর চালানো যাবে। এ ধরনের একটি কেন্দ্র স্থাপন করলে ৮০ বছর সেখান থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব।

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী স্থপতি ড. ইয়াফেস ওসমান বলেন, বাংলাদেশ ৩৩তম দেশ; যারা নিউক্লিয়ার নিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করতে পারে। রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের মর্যাদা বেড়ে যাবে। বিশ্বে আমাদের দেশের অবস্থান বদলে যাবে। যেদিন আমরা বিদ্যুৎকেন্দ্র চালাতে পারব, সেদিন থেকে রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কারণে বাংলাদেশ একটা অনন্য মর্যাদায় গিয়ে পৃথিবীর সামনে দাঁড়াবে।

জানা যায়, গত সেপ্টেম্বরে রূপপুর প্রকল্প নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি দুই দিনব্যাপী সরেজমিনে পরিদর্শন করেছে একাদশ জাতীয় সংসদের অনুমিত হিসাব সম্পর্কিত কমিটির সভাপতি মো. আব্দুস শহীদসহ ১০ সদস্যের দল। পরিদর্শন শেষে কমিটির সভাপতি প্রকল্পের সার্বিক কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘এ প্রকল্পের কাজ স্বচ্ছভাবে হয়েছে। রূপপুর বিদ্যুৎ প্রকল্প সঠিক পথে এগোচ্ছে।’

নির্মাণ শুরু সাত বছরের মাথায় ২০২৩ সালে ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াটের ভিভিইআর-১২০০ মডেলের (জেনারেশন থ্রি-প্লাস) প্রথম রি-অ্যাক্টরটি উৎপাদনে আসবে। তার এক বছর পর, ২০২৪ সালে উৎপাদনে আসবে দ্বিতীয় রি-অ্যাক্টরটি। দ্বিতীয়টির উৎপাদন ক্ষমতাও ১ হাজার ২০০ মেগাওয়াট। অর্থাৎ ২০২৪ সাল নাগাদ আমাদের জাতীয় গ্রিডে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎ যোগ হবে।

হিসাব মোতাবেক, দুটি রি-অ্যাক্টর থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে ২৪০০ মেগাওয়াট। ফলে পাওয়া যাবে ২৪ লাখ কিলোওয়াট বা ইউনিট। ৫ টাকা ইউনিট হিসাবে এতে প্রতি ঘণ্টায় আয় হতে পারে এক কোটি ২০ লাখ টাকা। দৈনিক আয় হতে পারে ২৮ কোটি ৮০ লাখ। বাৎসরিক আয় হতে পারে ১০ হাজার ৫১২ কোটি টাকা বা ১২৩৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

প্রসঙ্গত, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:৫৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]