মাথার ত্বকের শুষ্কতা অথবা সেবোরেইক ডার্মাটাইটিসের মতো চর্ম অবস্থার কারণে খুশকি হতে পারে। চুলে নিয়মিত যত্ন নিলে অনেক সমস্যাই সমাধান হবে। একইভাবে স্ক্যাল্প তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও আর্দ্রতা পেলে, ভালো থাকে। খুশকিও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই খুশকি থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া কিছু উপায় রয়েছে, জেনে নিন-

নিম
নিমের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি মাইক্রোবায়াল ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান যা খুশকি সারিয়ে তুলে। এর অ্যান্টি ফাঙ্গাল উপাদানও স্ক্যাল্প ভালো রাখে। খুশকি গোঁড়া থেকে নির্মূল করে। ‘ব্রাজিলিয়ান জার্নাল অফ মাইক্রোবায়োলজি’-তেও নিমের এই অ্যান্টি ফাঙ্গাল গুণ বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।

ব্যবহারের উপায়: ১৫টা নিম পাতা নিন। একটি পাত্রে চার টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিন। গ্রাইন্ডারে নিম পাতা ভালো করে গুঁড়া করে নিতে হবে। এবার ঐ দুই উপাদান ভালো করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। তা আপনার স্ক্যাল্পে ও চুলের গোঁড়ায় খুব ভালো করে লাগিয়ে নিন। এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। ভিটামিন-সি ও ভিটামিন বি৬-এ ভরপুর। ভিটামিন-সি খুশকির সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।

ব্যবহারের উপায়: বড় একটি পেঁয়াজ নিয়ে প্রথমে খোসা ছাড়িয়ে নিন। পেঁয়াজটি টুকরো টুকরো করে কেটে গ্রাইন্ডারে পেস্ট বানিয়ে নিন। সেই পেস্ট থেকে রস ছেঁকে বের করে নিন। তা আঙুলের সাহায্যে স্ক্যাল্পে লাগিয়ে নিন। এতে স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। চুলের গোঁড়ায় পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন পৌঁছায়। পাশাপাশি খুশকির সমস্যাও কমে। আধঘণ্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করুন।

আপেল সাইডার ভিনিগার
আপেল সাইডার ভিনিগারও খুশকি নিরাময়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তবে এটিও সরাসরি স্ক্যাল্পে ব্যবহার করবেন না। এতে স্ক্যাল্প ও চুলের ক্ষতি হতে পারে।

ব্যবহারের উপায়: আধাকাপ আপেল সাইডার ভিনিগার নিন। এরসঙ্গে আধাকাপ পানি নিন। দুটি ভালো করে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার সেই মিশ্রণ স্ক্যাল্পে ভালো করে লাগিয়ে নিন। চুলেও লাগাতে পারেন। এবার কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। আপেল সাইডার ভিনিগার লাগিয়ে বেশিক্ষণ রাখবেন না। এতেও চুলের ক্ষতি হতে পারে। এবার শ্যাম্পু করে নিন।

স্ক্যাল্পের চিকিৎসা চললে বা কোনো সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঘরোয়া এ পদ্ধতি কাজে লাগাবেন না।