বৃহস্পতিবার ৯ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন পেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ | প্রিন্ট

একমাত্র ফুটবলার হিসেবে তিনটি বিশ্বকাপ জিতেছেন পেলে

জীবনে কত ম্যাচ জিতেছেন, কত হেরে যাওয়ার মুহূর্তে শেষ সময়ে গোল করে ফল পাল্টে দিয়েছেন। কিন্তু ক্যানসারের সঙ্গে ‘ম্যাচে’ লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হার মানলেন পেলে। দীর্ঘদিন অসুস্থতার পর ৮২ বছর বয়সে সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ফুটবলের রাজা।

পেলের প্রয়াণে শুধু ফুটবলের একটা যুগেরই শেষ হলো না, পেলে বনাম ম্যারাডোনার চিরাচরিত সেই ‘সেরা’র লড়াইয়েরও অবসান হলো। ২০২০ সালের নভেম্বরে কোভিড অতিমারির মাঝেই মারা যান আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি ম্যারাডোনা।

পেলের বয়স যখন মাত্র ১৫, তখন তিনি ব্রাজিলের ক্লাব সান্তোসে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে ক্লাব ক্যারিয়ারের ১৮ বছর কাটিয়েছেন। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই ব্রাজিলের জার্সিতে ফুটবল বিশ্বকাপে খেলেছেন তিনি। দেশের হয়ে ১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০ এর বিশ্বকাপ জেতেন পেলে।

১৯৫৮-র বিশ্বকাপের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি পেলের। হাঁটুর চোট নিয়েই তিনি সুইডেনে খেলতে এসেছিলেন। প্রথম ম্যাচ খেলেন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে একটি অ্যাসিস্টও করেন।

সেই সময়ে সব থেকে কম বয়সে বিশ্বকাপে খেলার নজির গড়েন পেলে। সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে হ্যাটট্রিক করেন তিনি। সেটাও সব থেকে কম বয়সে। ফাইনালে সুইডেনের বিরুদ্ধে জোড়া গোল পেলেকে ব্রাজিলের অন্যতম সেরা ফুটবলারের আসনে প্রতিষ্ঠিত করে।

১৯৬২ বিশ্বকাপে তিনি গিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম সেরা ফুটবলার হিসেবে। ততদিনে দলে গারিঞ্চা, গিলমারের মতো তারকা ফুটবলারও চলে এসেছেন। তবে খেলার সময় দূরপাল্লার একটি শট মারতে গিয়ে চোট পান। ওই সময় বিশ্বকাপ থেকেই ছিটকে যান তিনি। ওই সময় বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক হতে দেয়নি চোট। পরে গ্যারিঞ্চার সৌজন্যে সেই বিশ্বকাপ ঘরে তোলে ব্রাজিল।

১৯৭০ বিশ্বকাপ ছিল পেলের জীবনে শেষ এবং অন্যতম সেরা বিশ্বকাপ। ফাইনালে ইতালিকে ৪-১ ব্যবধানে উড়িয়ে দেয় ব্রাজিল। কার্লোস আলবার্তোকে দেওয়া পেলের সেই পাস এখনও ফুটবলপ্রেমীদের চোখে লেগে রয়েছে। ফুটবল ইতিহাসে পেলেই একমাত্র ফুটবলার, যার তিনটে বিশ্বকাপ জয়ের নজির রয়েছে।

সারা বিশ্বে ফুটবলকে জনপ্রিয় করার পেছনে তার অনেক অবদান রয়েছে। তাকে ফুটবলের রাজা ও কালো মানিক উপাধি দেওয়া হয়। বর্ণিল এক জীবন কাটিয়েছেন তিনি। পেয়েছেন অনেক স্বীকৃতি। ১৯৯৯ সালে শতাব্দীর সেরা অ্যাথলেট হিসেবে স্বীকৃতি পান আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কাছ থেকে। ফিফার ‘প্লেয়ার অব দ্য সেঞ্চুরি’ হয়েছেন ম্যারাডোনার সঙ্গে যৌথভাবে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৩:০৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]