শুক্রবার ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশ পেরিয়ে বিদেশ যাচ্ছে মুরাদের গুড়

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট

দেশ পেরিয়ে বিদেশ যাচ্ছে মুরাদের গুড়

সততা, মেধা আর পরিশ্রমকে পুঁজি করে উদ্যোক্তা হওয়ার পথে হাঁটছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা মুরাদ পারভেজ। খাদ্য প্রযুক্তি ও পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করা এই তরুণের স্বপ্ন ছিল নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করার। সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে এগুচ্ছেন তিনি। এরই মধ্যে দেশের অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নানা খাদ্যপণ্য সরবরাহ করে সুনাম কুড়িয়েছেন। বর্তমানে তার গুড় যাচ্ছে দেশ পেরিয়ে বিদেশ।

জান যায়, ২০২০ সালের জুন মাসে মুরাদ পারভেজ শুরু করলেন ই-কমার্স। অনলাইনেই অর্ডার পেতে শুরু করেন। পণ্য হাতে পেয়ে ক্রেতারা পরিশোধ করেন টাকা। শতভাগ ভেজালমুক্ত পণ্য সরবরাহের কারণে ক্রমেই ক্রেতাদের আস্থা বাড়তে থাকে মুরাদের প্রতি। টন-টন আম বিক্রি করেন তিনি। কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি করেন অনেকের। রাজশাহীর কেমিক্যালমুক্ত ফ্রেশ আম বিক্রি দিয়ে এভাবেই ই-কমার্সে কাজ শুরু তার।

আম বিক্রির সঙ্গে চলে মাটির তৈজসপত্র বিক্রি। সেখানেও ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করেন তিনি। সেই যে শুরু এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি পুষ্টিবিদ মুরাদকে। এবার তিনি বিক্রি করছেন ভেজালমুক্ত রাজশাহীর গুড়, ফ্রেশ মধু এবং ঘি। এবারও তিনি সফল। শীত মৌসুমে তার ব্যবসায়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ হয়েছে ৪৭ জন শ্রমিকের। আর তার তৈরি গুড় দেশের গণ্ডি পেরিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

পুষ্টিবিদ মুরাদ পারভেজ জানান, গত দুই বছর আট মাসে তার দেড় কোটি টাকার পণ্য বিক্রি হয়েছে। নিজের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের ফেসবুক পেজ ‘ম্যাংগো লাভার’ থেকে পণ্যের মার্কেটিং করেন তিনি। প্রতিদিন অসংখ্য অর্ডার আসে তার। তার থেকে ভেজালমুক্ত খাদ্য নায্যদামে পেয়ে খুশি ক্রেতারাও।

জানতে চাইলে মুরাদ পারভেজ বলেন, নিরাপদ খাদ্য নিয়ে কাজ করার ইচ্ছা ছিল। আজকাল অধিকাংশ পণ্যে ভেজাল। ভেজালমুক্ত খাদ্য তৈরি ও সরবরাহের শপথ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়ালেখা শেষ করে নেমে পড়েছি কাজে। চাকরির পেছনে ছুটিনি আমি। নিজেই নিজের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছি। পাশাপাশি আরো অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করেছি। ৩৭ জন কৃষক আমার এখানে কাজ করেন। আমার তৈরি পণ্য যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৩১টি দেশে গুড় পাঠিয়েছি। আমার ব্যবসায়ের ব্যতিক্রমী দিকটি হলো আমি এক টাকাও অগ্রিম নেই না। পণ্য হাতে পেয়ে সন্তুষ্ট হয়ে ক্রেতারা টাকা দেন। এটাই আমার বিশেষত্ব।

তিনি আরো বলেন, আমার স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন হচ্ছে। একদিন বড় মাপের উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন দেখি। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে গ্রামে গিয়ে অনলাইনে পণ্য বিক্রি করার বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি অনেকে। আমার সমালোচনায় মত্ত ছিলেন তারা। তবে আগে তারা সমালোচনা করলেও এখন আমার সাফল্য দেখে প্রশংসা করেন। আমি এগিয়ে যেতে চাই সবার দোয়া আর ভালোবাসা নিয়ে।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:৪১ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]