নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | প্রিন্ট
মুন্সীগঞ্জে বায়ুদূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। কলকারখানায় সহনীয় মাত্রার চেয়ে আট গুণ বেশি এসপিএম চিহ্নিতের পরও দূষণ রোধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। সরকারি হিসাবে জেলার ৭১ কলকারখানা বায়ুদূষণ করছে। কিন্তু বাস্তবে তা তিন গুণেরও বেশি। এদিকে দূষণের কারণে জেলায় শ্বাসকষ্ট রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে।
সরেজিমন দেখা গেছে, জেলায় অবস্থিত শাহ সিমেন্ট কারখানাটিতে প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ২০০ মাইক্রোগ্রাম এসপিএমের স্থলে পাওয়া যায় ১ হাজার ৫৫১ মাইক্রোগ্রাম এসপিএম। ধলেশ্বরী ও শীতলক্ষ্যা তীরে অবস্থিত কারখানাটিকে পরিবেশের ক্ষতিসাধনের দায়ে সম্প্রতি ২ লাখ ১৮ হাজার ৪০০ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে পরিবেশ অধিদফতর। এরপরও থেমে নেই বায়ুদূষণ। জাহাজ থেকে খোলা ক্রেনে করে রাতদিন ক্লিংকার অপসারণ করা হচ্ছে। মুচলেকা দিয়েও প্রতিষ্ঠানে স্থাপন করা হয়নি ইকো হপার। জেলার ছয়টি সিমেন্ট কারখানার পাঁচটি ভয়াবহ বায়ুদূষণ করছে।
কালো ধোঁয়ায় বায়ুদূষণ করছে জেলার বৈধ-অবৈধ ইটভাটাও। ১২ অটোরাইস মিলও কালো ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন করছে বাতাস। যানবাহনের কালো ধোঁয়া তো আছেই। জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোর কারণেও বায়ুদূষণ বেড়েই চলেছে।
স্থানীয়রা জানান, জেলায় কলকারখানার ধোঁয়ার কারণে বায়ুদূষণ বেড়েছে। এতে অনেকেই শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। এ ছাড়াও অনেকে দীর্ঘমেয়াদি ঠান্ডা-কাশিতে ভুগছেন।
Posted ৬:০২ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin