দেশে টানা পাঁচদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে। এতে এখানকার জনজীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। মানুষ ও যানবাহন চলাচল অনেকটা কমে গেছে। বাজারে ঈদ কেনাকাটায় ছেদ পড়েছে। তীব্র গরমে রোজাদারদের অবস্থাও ওষ্ঠাগত।
গত কয়েকদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬-৩৮ ডিগ্রিতে থাকলেও রোববার ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস সূত্রে আরো জানা যায়, শুক্রবার জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া বৃহস্পতিবার ৩৭.৫ ডিগ্রি, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি, সোমবার ৩৫.৫ ডিগ্রি ও রোববার ৩৩.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।
বেসরকারি চাকরিজীবী শিউলি শারমীন বলেন, প্রচণ্ড গরমে রোজা রাখা আর অফিস করা খুব কষ্টসাধ্য হয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে ভালো হতো।
রিকশাচালক লিয়াকত মিয়া বলেন, রাস্তায় বের হলে মাথার ওপর সূর্য থাকছে। একই সঙ্গে গরমে রিকশা চালানো যাচ্ছে। আর যাত্রীও তেমনটা নেই।
ব্যাংকার আবির হোসেন রাজু বলেন, ভাবছিলাম মাঝ রোজার মধ্যে বাড়ির জন্য ঈদের কেনাকাটা করে রাখবো, কিন্তু এতো রোদ আর তাপমাত্রা মার্কেটে ঘোরাঘুরি করার উপায় নেই।
চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রকিবুল হাসান জানান, রোববার চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে। এটি দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এছাড়া গত চারদিনও দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড হয়েছে। দু-তিন দিনের মধ্যে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। ফলে তাপমাত্রা আরও বাড়বে পাবে।
