নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩ | প্রিন্ট
ঈদের আর বেশি বাকি নেই। রোজার প্রথম দুই দশক গত হয়েছে এরইমধ্যে। তবুও বেচাকেনা সেভাবে জমে ওঠেনি গুলিস্তানের ফুটপাত মার্কেটে। রোজার শেষ সপ্তাহে ব্যবসা জমে উঠবে বলে প্রত্যাশা করছেন ব্যবসায়ীরা।
গুলিস্তানে বায়তুল মোকাররম সংলগ্ন ফুটপাত মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি পিস পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ২৫০০ টাকায়। পায়জামা ৩০০ থেকে ৫০০, সালোয়ার কামিজ-থ্রিপিস ৩০০-৮০০, টুপি মানভেদে ৫০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গুলিস্তানের ফুটপাতে ঈদ সামনে রেখে পণ্যের দাম একটু বাড়তি করেই ধরছেন দোকানিরা। এটাও ক্রেতা কম হওয়ার কারণ মনে করছেন অনেকে।
পাঞ্জাবির দোকানি মো. আতিকুর রহমান বলেন, আমার দোকানে ৭০০ থেকে ২৫০০ টাকার পাঞ্জাবি আছে। এখনো বেচাকেনা তেমন জমেনি। প্রতিদিন মাত্র ২০-৩০ পিস মাল বিক্রি হচ্ছে। আশা করছি আর দু-চারদিন গেলে বিক্রি ভালো হতে শুরু করবে।
গুলিস্তানের মাওলানা ভাসানী হকি স্টেডিয়ামের বিপরীতে মহিলাদের বিভিন্ন পোশাক নিয়ে বসা ভাসমান ব্যবসায়ী আলমগীর বলেন, বেচাকেনার অবস্থা এখনো সুবিধার না। অন্য বছরগুলাতে এই সময় দিনে ৮০-১০০ পিস মাল বিক্রি হতো। আর এখন দিনে ৩০-৪০ পিস হচ্ছে মাত্র।
এদিকে একই জায়গায় জুতা স্যান্ডেলের পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায় কিছু হকারদের। সেখানেও উল্লেখযোগ্য ক্রেতা মিলছে না বলে দাবি করেন বিক্রেতারা। জুতা স্যান্ডেল বিক্রেতা শিপু বলেন, প্রতি জোড়া মানভেদে ৪০০-৬০০ টাকা বিক্রি করছি। এখনও কেনাবেচা ভালোমতো শুরু হয়নি। দিনে মাত্র ৫-৭ জোড়া বিক্রি হচ্ছে।
টি-শার্টের দোকান সাজিয়ে বসতে দেখা যায় অনেক দোকানিকে। তারা জানান, ২০০-৩০০ টাকা দাম রাখছেন টিশার্টের। তবে তেমন ক্রেতা এখনো পাচ্ছেন না। এছাড়াও গুলিস্তানের ফুটপাতে দেখা যায় শিশুদের পোশাকের সমাহারও। শিশুদের পোশাক নিয়ে বসা ব্যবসায়ী রুবেলের কণ্ঠেও শোনা গেল হতাশার সুর। তিনি বলেন, দিনে ৩-৪ হাজারের বেশি বিক্রি হচ্ছে না। অথচ এখন ভরা মৌসুম। আল্লাহ চাইলে দেখি আর দু’চারদিন পর কী হয়।
এদিকে অধিকাংশ ব্যবসায়ীর কণ্ঠে হতাশার সুর শোনা গেলেও গজ-কাপড় ব্যবসায়ীরের কণ্ঠে শোনা গেল ভিন্ন সুর। বায়তুল মোকাররম ঘেষে গড়ে ওঠা বিভিন্ন পাঞ্জাবির গজ কাপড় বিক্রেতাদের দেখা গেল ব্যস্ত সময় পার করতে। দোকানি মো. আবুল কালাম জানান, তার দোকানে মানভেদে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা গজে পাঞ্জাবির কাপড় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন ৬০-৭০ হাজার টাকার মালামাল বিক্রি করছেন তিনি।
এদিকে গজ কাপড়ের ব্যবসায়ী মো. শরীফ বলেন, আল্লাহ চাইলে ব্যবসা ভালোই চলছে। প্রতিদিন ৫০-৬০ হাজার টাকার বিক্রি হচ্ছে। পাঞ্জাবির দোকানে বিক্রি না জমলেও গজ কাপড় বিক্রি ভালো হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, পাঞ্জাবি রেডিমেড কিনে পড়তে পারবে। কিন্তু গজ কাপড় কিনে পাঞ্জাবি বানাতে কিছুদিন সময় লাগবে। এজন্য যারা পাঞ্জাবি বানিয়ে পড়বে তারা ঈদের আগে হাতে সময় রেখেই কাপড় কিনছেন। তাই আমাদের বিক্রি ভালো।
কাপড় কিনতে আসা হাসিবুর রহমান বলেন, সাধারণত অন্যান্য সময় থেকে ঈদ উপলক্ষে ফুটপাতের পণ্যের দাম একটু বেশিই। এজন্য সাড়া কম। তাছাড়া ফুটপাতটা জমে উঠবে মূলত ঈদের সপ্তাহখানেক আগে।
Posted ৮:২৫ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin