শুক্রবার ৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গভীর সাগরে ভাসছে পণ্যবাহী ৬২ জাহাজ

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   রবিবার, ১৪ মে ২০২৩ | প্রিন্ট

গভীর সাগরে ভাসছে পণ্যবাহী ৬২ জাহাজ

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে বন্দর থেকে সব জাহাজ গভীর সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। গভীর সাগরে সার্বক্ষণিক জাহাজের ইঞ্জিন চালু রাখাসহ জাহাজগুলোকে নির্ধারিত দূরত্বে নোঙর করতে বলা হয়েছে। সাগরে জাহাজগুলোকে পাঠিয়ে দেয়ার ফলে বর্তমানে ৬২টি জাহাজ নিত্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামাল নিয়ে গভীর সাগরে ভাসছে। এর আগে ৪২টি পণ্যবাহী জাহাজ বন্দরগুলোর বহির্নোঙরে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে সাগর উত্তাল হলেও এসব জাহাজ ঢেউয়ের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষা করে টিকতে পারে। কিন্তু জেটিতে থাকলে ঢেউয়ের ধাক্কায় জেটিতে আঘাত লেগে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে, তাই জেটি থেকে সব জাহাজ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এছাড়া চ্যানেলে ডুবে নৌপথ বন্ধ করে দেওয়ার শঙ্কা থাকে। সেজন্য ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি মোকাবেলায় এই নানান পদক্ষেপ নিচ্ছে বন্দর।

বন্দরসচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ১৯৯১ সালে ঘূর্ণিঝড়ে বন্দর জেটি, জাহাজ ও স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর দুর্ঘটনা এড়াতে বড় জাহাজগুলো সাগরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সাগরে পাঠানো জাহাজগুলো যাতে সার্বক্ষণিক ইঞ্জিন চালু রাখে, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান। আবার এক জাহাজ থেকে আরেক জাহাজ নির্ধারিত দূরত্বে নোঙর করে রাখতে বলা হয়েছে।

শনিবার সকালে হালনাগাদ করা বন্দরের তালিকা অনুযায়ী, সাগরে থাকা বড় জাহাজগুলোর মধ্যে ১১টি কনটেইনার জাহাজ। কনটেইনারবিহীন জাহাজে চিনি, খাদ্যশস্য, লবণ, সিমেন্টশিল্পের কাঁচামাল ক্লিংকার, পাথর ও সাধারণ পণ্য রয়েছে। কনটেইনার জাহাজগুলো ছোট আকারের হলেও ভোগ্যপণ্য ও শিল্পের কাঁচামালের জাহাজগুলো বড় আকারের। একেকটিতে ৫০-৬৫ হাজার টন পণ্যবাহী; অর্থাৎ সুপরাম্যাক্স ও আলট্রাম্যাক্স ধরনের জাহাজ রয়েছে সেখানে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মোকাবেলায় উপকূলের কাছে থাকা বন্দরগুলোকে সুরক্ষিত রাখতে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে আসছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৯৯১ সালে ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার এক বছর পর বন্দর একটি নীতিমালা তৈরি করে। এখন সেই নীতিমালার আলোকে পদক্ষেপ নিয়ে আসছে বন্দর। তাতে ক্ষয়ক্ষতিও তুলনামূলক কম হয়েছে।

বন্দর কর্মকর্তারা জানায়, মূলত দুর্যোগ মোকাবেলায় কখন কী করতে হবে, তা ঠিক করতে বন্দরের নিজস্ব প্রস্তুতির জন্য এই সতর্কতা জারি করে বন্দর কর্তৃপক্ষ। ১৯৯২ সালে বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রণীত ঘূর্ণিঝড়-দুর্যোগ প্রস্তুতি এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী পুনর্বাসন পরিকল্পনা অনুযায়ী, আবহাওয়া অধিদফতরের সংকেত অনুযায়ী চার ধরনের সতর্কতা জারি করে বন্দর।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৪:০৪ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ১৪ মে ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]