ফেসবুকে ছবি পোস্ট দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পান্টিতে বন্ধুর ছুরিকাঘাতে তানজিল শেখ নামে এক কলেজছাত্র নিহত হন। এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত ওবায়দুল শেখ ইমনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র্যাব-১২ এর কুষ্টিয়া ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, সোমবার রাতে খুলনা রেলস্টেশন এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ওবায়দুল শেখ ইমনকে গ্রেফতার করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বন্ধু তানজিলকে ছুরিকাঘাত করে হত্যার পর থেকে বিভিন্ন স্থানে পালিয়ে ছিলেন আসামি ইমন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এবং প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে খুলনা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
নিহত তানজিল শেখ কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের ওয়াশী গ্রামের মনিরুল শেখের ছেলে। তানজিল পান্টি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত ওবায়দুল শেখ ইমনও একই কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। ইমন পান্টি বাজার এলাকার চা বিক্রেতা মিলন হোসেনের ছেলে।
ফেসবুকে ধুমপানরত অবস্থার একটি ছবি পোস্ট দেওয়া নিয়ে গত শনিবার বিকেলে পান্টি স্কুল মাঠে তানজিল এবং তার বন্ধু ইমনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ইমন তার পকেট থেকে ধারালো ছুরি বের করে তানজিলের বুকে আঘাত করে পালিয়ে যান। স্থানীয়রা তানজিলকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় গত সোমবার নিহতের বাবা বাদী হয়ে দুইজনের নাম উল্লেখসহ আরো দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করে কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
