নিজস্ব প্রতিবেদক | রবিবার, ২৮ মে ২০২৩ | প্রিন্ট
কুমিল্লাবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষা শেষে ২০০৬ সালে দেশের ২৬তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। সবুজ অরণ্যের মধ্যে ছোট ছোট লালমাটির টিলায় সাদা রঙের ভবনগুলো দাঁড়িয়ে আছে বুক উঁচিয়ে। মধ্য-পূর্বাঞ্চলের এই বিদ্যাপীঠটি ১৭ পেরিয়ে পা দিয়েছে ১৮ বছরে। দেড় যুগের পথচলায় সঙ্কট, অপূর্ণতার মধ্যে নানা স্বপ্ন-সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নিজ গতিতে।
২০০৬ সালের ২৮ মে ৫০ একর জমিতে সাতটি বিভাগে ৩০০ জন শিক্ষার্থী ও ১৫ জন শিক্ষক নিয়ে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়টির কার্যক্রম। বর্তমানে ২৬৫ জন শিক্ষক ও ৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী রয়েছে এখানে। এছাড়া ৩০৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী এই শিক্ষালয়ে শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন।
গবেষণার মান বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ নানাভাবে দেশের শিক্ষাক্ষেত্রে অবদান রাখছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সিভিল সার্ভিস, করপোরেটসহ সরকারি-বেসরকারি চাকরি বাজারে সাফল্য পেতে শুরু করেছেন তারা।
এখানে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি প্রশাসনিক ভবন, চারটি একাডেমিক ভবন, ক্যাফেটেরিয়া, পরিবহণপুলসহ বিভিন্ন ভবন রয়েছে। এছাড়া শিক্ষার্থীদের পাঁচটি আবাসিক হলে রয়েছে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষার্থী। শিক্ষকদের জন্য রয়েছে তিনটি ডরমিটরি। শিক্ষার্থীরা পড়ালেখার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে যুক্ত থাকেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অবকাঠামোগত উন্নয়নে কিছুটা পিছিয়ে থাকলেও ১৬শ কোটি টাকার মেগা প্রকল্প স্বপ্ন দেখাচ্ছে নতুন দিগন্তের। এরই মধ্যে ২০০ একর ভূমি অধিগ্রহণ শেষে কাজ শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে কাজটি ২০২৩ সালের জুনে শেষ করার কথা থাকলেও ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় তা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বলছেন, আগামী বছরের শেষে মেগা প্রকল্পের কাজ শেষ হবে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) এখন পর্যন্ত সাতজন উপাচার্য নিয়োগ পেয়েছেন। সপ্তম উপাচার্য হিসেবে ২০২২ সালের ৩১ জানুয়ারি যোগদান করেন অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। শুরু থেকে অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি গবেষণামুখী শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। গবেষণায় বাজেট বৃদ্ধি, প্রণোদনা প্রদান ও গবেষণায় অবদান রাখার জন্য শিক্ষকদের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। ভবিষ্যতে শিক্ষকদের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদেরও গবেষণামুখী করতে ফান্ড বৃদ্ধির কথা জানান উপাচার্য। ১৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, আমরা সাধ ও সাধ্যের মধ্যে এবারের দিবসটি উদযাপন করতে চাই। আমরা এ বছর আমাদের সাবেক শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে আমন্ত্রণ জানিয়েছি। আমরা চাই তারা তাদের ক্যাম্পাসে এসে তাদের স্মৃতি খুঁজে ফিরবে। এতে সাবেক-বর্তমানের মিলনমেলা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক আরো দৃঢ় হবে।
Posted ৮:১৯ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৮ মে ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin