নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
ফরিদপুরের বোয়ালমারীর পশ্চিম কামারগ্রামের মৃধাপাড়ার মেহেদি হাসান (২৩) হত্যাকাণ্ডে জড়িত পাঁচ আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাদের নিকট থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত হাতুড়ি, দা ও জিকার কচা ডাল উদ্ধারের পর জব্দ করা হয়েছে।
ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে বুধবার অনুষ্ঠিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইমদাদ হুসাইন এসব তথ্য জানান।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, বোয়ালমারীর পশ্চিম কামারগ্রাম মৃধাপাড়ার জাহাঙ্গীর মৃধার ছেলে বিল্লাল মৃধা (২৩), কালামিয়ার ছেলে সাহিদ (৩৫), লিয়াকত শেখের ছেলে ওবায়দুর শেখ (৪৫), ওবায়দুর শেখের ছেলে সোহান (২০) ও আবু মিয়ার ছেলে গফুর মিয়া (৫০)।
গত ৪ জুন রাতে খুন হন মেহেদী হাসান। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রী ছিলেন। নিহতের পিতা সালাম মৃধা বাদী হয়ে ৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৬ থেকে ৭ জনকে আসামি করে বোয়ালমারী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, পূর্বপরিকল্পিতভাবে মেহেদিকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশের তদন্তকারী একটি দল আসামি বিল্লাল মৃধাকে আটক করে। পরে তার কাছে হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনার তথ্য জানা যায়। তিনি জানান, গত রোজার সময় আম খাওয়াকে কেন্দ্র করে মেহেদির সঙ্গে আসামি সাহিদের মারামারি হয়। এর জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড। যার মূল পরিকল্পনায় ছিলেন বিল্লাল।
পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেহেদী হাসান তার বন্ধু সোহাগের সঙ্গে পাশের রায়পুরে জনৈক রশিদের বাড়িতে যান কাজের খবর জানতে। এ সময় বিল্লাল মোবাইলে করে সোহাগকে সেখান থেকে চলে যেতে বলেন। এরপর মেহেদি বাড়ি ফেরার পথে তাকে হাতুড়ি ও জিকার কচা দিয়ে পিটিয়ে ও দা দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) মো. শরিফুল সুমন জানান, ঘটনার দিন সাহিদের একটি বাঁশের তৈরি মাচালিতে বসে হত্যাকাণ্ডের সর্বশেষ পরিকল্পনা করা হয়। ঘটনার বিস্তারিত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।
বোয়ালমারী থানার ওসি মুহাম্মদ আব্দুল ওহাব বলেন, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি ছ্যানদা, হাতুড়ি ও কচা ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণের জন্য গ্রেফতারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
Posted ৭:৫৮ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ০৮ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin