নিজস্ব প্রতিবেদক | শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো প্রায় ২০০ বছরের প্রাচীন গ্রামীণ মেলা। মেলা ঘিরে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা মানুষের মূল আকর্ষণ ছিল ঘুড়ি উৎসব।
গ্রামীণ এই মেলায় মন্ডা মিঠাই ছাড়াও কেনাবেচার ধুম পড়ে বাঁশ, বেত, লোহার তৈরি তৈজসপত্র ও মাছ ধরার বিভিন্ন ধরনের ফাঁদ নিয়ে।
এদিকে আষাঢ়ের নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। তবুও গোটা গগন দখলে নিয়েছে গোত্তা খাওয়া ঘুড়ি। ডায়মন্ড, ঢাউশ, চং, চোঙা মুখোর তাদের ওড়াউড়ি। যতদূর চোখ যায় অসীম সীমায় ঘুড়িরই রাজত্ব। এ যেন ঘুড়িরই গ্রাম।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার উত্তর জিয়াপুর। অবাধ্য তুলসীগঙ্গা নদীতীরবর্তী সন্ন্যাসতলায় প্রতিবছরে বসে গ্রাম্য মেলা। ব্যতিক্রম নয় এবারও। যার মূল আকর্ষণ এই ঘুড়ি উৎসব। সকাল গড়িয়ে সন্ধ্যা, বেচাকেনার ধুম বাড়ে দূর-দূরান্ত থেকে আসা দোকানিদের। শিশু-কিশোর কিংবা বৃদ্ধ, দর্শনার্থীরা দারুণ খুশি এই মেলায় আসতে পেরে।
প্রতি বছর জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষ শুক্রবার এই মেলা বসলেও এবারই প্রথম তা হচ্ছে ২ আষাঢ়ে। যাকে ঘিরে আশপাশের বাড়িতে বেড়াতে আসেন মেয়ে-জামাই ও আত্মীয়স্বজনরা। আইনশৃঙ্খলায় পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবকরা থাকেন সদা প্রস্তুত।
মেলা কমিটির সভাপতি শাহজাহান আলী ভুট্রু বলেন, ‘এই মেলার নিরাপত্তার বিষয়টি বেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে। ভবিষ্যতে এই মেলা আরও জাঁকজমক হয়ে উঠেবে বলে আশা করি।’
Posted ২:১৭ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ১৭ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin