নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩ | প্রিন্ট
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাতের প্রস্তুতি। সকাল ৯টায় শুরু হবে ঈদুল আজহার জামাত। মুসল্লিদের পরিবহনে চলবে বিশেষ দুইটি ট্রেন। নামাজ সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ নিয়মিত ময়দান পরিদর্শন করছেন।
এবার ঈদুল আজহার ১৯৬তম জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
ঈদগাহ ব্যবস্থাপনা কমিটি সূত্রে জানা যায়, ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দানে এবার পবিত্র ঈদুল আজহার ১৯৬তম জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ময়দানের নিরাপত্তায় পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। ছয়টি অ্যাম্বুলেন্স এবং ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট সার্বক্ষণিক মোতায়েন থাকবে।
ঈদের জামাতে অংশ নেয়ে দূরবর্তী মুসল্লিদের যাতায়াতের সুবিধার্থে ‘ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব’ ও ‘ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ’ লাইনে ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস’ নামে দুইটি বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে।
আগামী বৃহস্পতিবার (ঈদের দিন) ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-১’ ভৈরব থেকে সকাল ৬টায় ছেড়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে সকাল ৮টায়। ফিরতি পথে দুপুর ১২টায় কিশোরগঞ্জ ছেড়ে ভৈরবে পৌঁছবে দুপুর ২টায়। একইদিন ‘শোলাকিয়া এক্সপ্রেস-২’ সকাল পৌনে ৬টায় ময়মনসিংহ থেকে ছেড়ে কিশোরগঞ্জ পৌঁছবে সকাল সাড়ে ৮টায়। আবার কিশোরগঞ্জ থেকে দুপুর ১২টায় ছেড়ে ময়মনসিংহে পৌঁছবে বিকেল ৩টায়।
দেশের সর্ববৃহৎ এই ঈদ জামাতের ময়দানটি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পূর্বদিকে নরসুন্দা নদীর তীর ঘেঁষে অবস্থিত। প্রায় সাড়ে ছয় একর জমি নিয়ে শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। প্রতি বছর দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুসল্লিরা ঈদের নামাজ পড়তে ময়দানে জমায়েত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ১৮২৮ সালে শোলাকিয়া ময়দানে প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেই জামাতে ‘সোয়া লাখ’ মুসল্লি একসঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করেন। তখন ‘সোয়া লাখিয়া’ নামে পরিচিতি পায় এই ময়দান। পরে ‘শোলাকিয়া’ নামকরণ করা হয়।
বাংলার বারো ভূঁইয়াদের অন্যতম ঈশা খাঁ’র ১৬তম বংশধর দেওয়ান মান্নান দাদ খাঁন ১৯৫০ সালে শোলাকিয়া ঈদগাহের জন্য সাড়ে ছয় একর জমি ওয়াকফ করেন।
কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, তিন স্তরের নিরাপত্তা থাকবে। চারটি ওয়াচ টাওয়ার ছাড়াও পুলিশের তৎপরতা সাদা পোশাকে অব্যাহত থাকবে।
কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক, মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ জানান, কোনোভাবেই মোবাইল ফোন ও ছাতা নিয়ে মাঠে প্রবেশ করা যাবে না। বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ১৯৬তম ঈদের জামাতটি অনুষ্ঠিত হবে। এ ঈদ জামাতে ইমামতি করবেন মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ।
Posted ২:৩৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৭ জুন ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin