ইন্ডিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে গোল্ডি বলেন, লরেন্স ভাই বলেই দিয়েছেন, ‘সালমানকে কোনোভাবেই ক্ষমা করা যাবে না। খুন হতেই হবে বলিউডের ভাইজানকে।’

এর আগে গত জুন মাসে সকালে হাঁটতে বের হয়ে প্রথম হুমকির চিঠি হাতে পান সালমান খান। চিঠিতে সালমান ও তার বাবা সেলিম খানকে হত্যার কথা লেখা হয়েছিল। এরপর একাধিকবার প্রকাশ্যেই সালমানকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন লরেন্স বিষ্ণোই।

এ ছাড়া কৃষ্ণসায়র হরিণ হত্যার অপরাধে প্রকাশ্যে ভাইজানকে ক্ষমা চাওয়ার কথাও বলে সে।

কানাডাভিত্তিক পলাতক গ্যাংস্টার ইন্ডিয়া টুডেকে দেয়া একটি সাক্ষাৎকারে সাফ জানিয়ে দিলেন সালমান খান রয়েছেন তাদের হত্যা তালিকায়।

‘আমরা ওকে মারবই, আমরা ওকে মারবই মারব। ভাই সাব (লরেন্স বিষ্ণোই) বলেছিলন, ওর ক্ষমা চাওয়া উচিত। বাবা তখনই করুণা দেখাবেন যখন তিনি করুণাময় বোধ করবেন।’

জেল বন্দি লরেন্স বিষ্ণোইয়ের দেয়া সাক্ষাৎকার, যেখানে তিনি বলেছিলেন সালমানকে হত্যাই তার জীবনের লক্ষ্য। সেটা উল্লেখ করে এ কথা বলেন গোল্ডি ব্রার।

এক টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন সালমান। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘নিরাপত্তাহীনতার থেকে নিরাপত্তা অনেক ভালো। হ্যাঁ, নিরাপত্তা রয়েছে। এখন আর একটা বাইসাইকেল নিয়ে রাস্তায় যাওয়া কিংবা একা একা কোথায় যাওয়া সম্ভব নয়। তার চেয়েও বড় কথা, আজকাল আমি ট্র্যাফিকে থামলেই চারপাশে নিরাপত্তা এত বেশি থাকে, অন্য মানুষের অসুবিধা হয়। সবাই আমার দিকে তাকায়। খুব গুরুতর হুমকি বলেই এত বেশি নিরাপত্তা।’

তবে শেষ পর্যন্ত ঈশ্বরেই ভরসা রাখছেন ভাইজান। জানাচ্ছেন, যেভাবে সারাক্ষণ তাকে ঘিরে থাকে বন্দুক, তাতে তিনি নিজেও খুব ভয়ে ভয়ে রয়েছেন।

এর আগে মার্চ মাসে মুম্বাই পুলিশ সালমান খানকে হুমকির মেইল পাঠানোর অভিযোগে গ্যাংস্টার লরেন্স বিষ্ণোই এবং গোল্ডি ব্রারের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালে সালমান খানের ওপর যোদপুরে ফিল্মের শুটিং চলাকালে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সেই সময় থেকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের চক্ষুশূল ভাইজান। এর আগে লরেন্স বিষ্ণোই জানিয়েছিলেন তারা সালমানকে গুলি করার চেষ্টা এর আগেও একবার করেছিলেন শার্প শুটার ভাড়া করে। তবে ব্যর্থ হন কড়া নিরাপত্তার কারণে।

প্রসঙ্গত, এই গোল্ডি ব্রারই গত বছরের মে মাসে পাঞ্জাবি গায়ক-রাজনীতিবিদ সিধু মুসেওয়ালার হত্যার পেছনে ছিলেন।