শুক্রবার ১০ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মানিকগঞ্জে ১০ দিনে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ৪৬০ টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শনিবার, ০১ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট

মানিকগঞ্জে ১০ দিনে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ৪৬০ টাকা

মানিকগঞ্জে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৬০০ টাকা। ১০ দিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে ৪৬০ টাকা। হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

এদিকে প্রচণ্ড তাপদহে মরিচের উৎপাদন কমে গেছে। আর গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে খেত থেকে মরিচ তুলতে না পারায় হঠাৎ করেই মরিচের দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ী ও মরিচ চাষিদের।

১০ দিন আগে মানিকগঞ্জে পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল গড়ে ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায়, যা খুচরা বাজারে বিক্রি হয়েছিল ১৮০ টাকা থেকে ২০০ টাকা করে। ৪-৫ দিন আগে খুচরা বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ৩৬০ টাকায়। ঈদের পরে দিন প্রতিকেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ৮০০ টাকা। তবে, আজ শনিবার খুচরা বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা থেকে ৬৪০ টাকা কেজি।

শিবালয় উপজেলার বরঙ্গাইল বাজারের আড়তদার ওয়াসিম জানান, ঈদের দুদিন আগেও কাঁচামরিচের দাম ছিল ২৭০-২৯০ টাকা। শনিবার কৃষকরা পাইকারি  বিক্রি করেছেন ৪১০-৪২০ টাকা কেজি। প্রয়োজনের তুলনায় উৎপাদন কম হওয়ায় হঠাৎ মরিচের দাম বেড়ে গেছে।

হরিরামপুরের ঝিটকা বাজারের আড়তদার আব্দুর রাজ্জাক জানান, শনিবার ৪২০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকায় কৃষকদের কাছ থেকে মরিচ কিনতে হয়েছে। বিভিন্ন খরচসহ আড়তদারা তা বিক্রি করছেন ৫০০ টাকা থেকে ৫২০ টাকা করে।

শনিবার মানিকগঞ্জ শহরের প্রধান বাজারের ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে ২৫ জন সবজি বিক্রি করছেন। তাদের মধ্যে মাত্র দুজনকে কাঁচামরিচ বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বিক্রেতা ফজলুল হক জানান, হরিরামপুরের ঝিটকা পাইকারি বাজার থেকে ৫০০ টাকা করে ১৫ কেজি কাঁচামরিচ কিনে এনেছেন। খুচরা বিক্রি করছেন ৬০০ টাকা কেজি।

মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড কাঁচা বাজারের বিক্রেতা রহিম উদ্দিন জানান, তিনি পাইকারি বাজার থেকে ৫৬০ টাকা দিয়ে ভালো মানের কাঁচামরিচ কিনেছেন। বিক্রি করছেন ৬৪০ টাকা কেজি।

ক্রেতা শারমিন আক্তার জানান, ঈদের কয়েক দিন আগে ৯০ টাকায় এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) কাঁচামরিচ কিনেছিলাম। এখন তা কিনতে হচ্ছে ১৫০ টাকায়।

আরেক ক্রেতা সুনীল শীল জানান, ঈদের দুই দিন আগে ৪২০ টাকায় এক কেজি কাঁচামরিচ কিনেছিলাম। শুক্রবার মরিচ কিনতে এসে দেখি, ৮০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। প্রয়োজন থাকলেও কেনা হয়নি। আজ এক পোয়া ১৫০ টাকা দিয়ে কিনছি।

কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামছুন্নবী তুলিপ জানান, উৎপাদন কমে যাওয়ায় ১২০ টাকার কাঁচামরিচ ১০ দিনের ব্যবধানে ৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। বাজার তদারকি না থাকায় মধ্যস্বত্বভোগীরা এ সুবিধা নিচ্ছেন।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, এবার অতিরিক্ত তাপ ও খরায় মরিচ গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। ফুলও ঝরে যাচ্ছে। ফলে মরিচের উৎপাদন কমে গেছে। এছাড়া কয়েক দিন ধরে টানা বৃষ্টিতে কৃষকরা খেত থেকে মরিচ তুলতে পারছেন না। চাহিদার তুলনায় বাজারে মরিচ পাওয়া যাচ্ছে খুবই কম।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১১:৩৬ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০১ জুলাই ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]