নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩ | প্রিন্ট
শিগগিরই নিবন্ধনের আওতায় আসছে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরার কাজে ব্যবহৃত ৬৫ হাজার নৌযান। এসব নৌযানের ধারণক্ষমতা ১৫ টনের কম। এগুলো সাগরে ৪০ মিটার গভীরতার মধ্যে চলাচল করে।
সাগরে মাছ ধরায় শৃঙ্খলা ফেরাতে আর্টিশনাল নৌযানগুলো নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য দফতরের চট্টগ্রামের পরিচালক মো. জিল্লুর রহমান।
তিনি বলেন, অনিবন্ধিত নৌযান নিয়ে সরকার কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। প্রাথমিকভাবে আর্টিশনাল নৌযানগুলোকে তিন বছরের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হবে। পরে প্রতি বছর তা নবায়ন করতে হবে। আমরা শিগগিরই এই প্রক্রিয়া শুরু করবো।
মো. জিল্লুর রহমান আরো বলেন, আর্টিশনাল নৌযানগুলো নিবন্ধিত হওয়ার পর সাগরে আর কোনও অবৈধ নৌযানকে মাছ ধরার জন্য নামতে দেওয়া হবে না। বর্তমানে সাগরের নিরাপত্তায় নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড এবং নৌ-পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি সাগরের নিরাপত্তা তথা তদারকির জন্য ১৪টি চেকপোস্ট স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। বর্তমানে একটি চেকপোস্ট রয়েছে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায়। বাকিগুলো স্থান নির্ধারণের পর স্থাপন করা হবে।
সামুদ্রিক মৎস্য দফতর সূত্রে জানা গেছে, সমুদ্রে মাছ ধরায় নিয়োজিত নৌযানগুলো হলো— বাণিজ্যিক ট্রলার, যান্ত্রিক নৌযান ও আর্টিশনাল নৌযান। এর মধ্যে দেশে নিবন্ধিত নৌযানের মধ্যে বাণিজ্যিক ট্রলার ২৩১টি ও যান্ত্রিক নৌযান ২৮ হাজার ৫০০টি। অপরদিকে আর্টিশনাল যান্ত্রিক নৌযান আছে ৬৫ হাজার। এর বেশিও থাকতে পারে। তবে আর্টিশনাল নৌযানগুলোর নিবন্ধন নেই। যে কারণে প্রকৃত সংখ্যাও নেই দফতরে। ফলে এগুলো এবার নিবন্ধনের আওতায় আসছে। তিন ধরনের নৌযান দেশের ১৪টি উপকূলীয় জেলা এবং ৬৭টি উপজেলার নদী ও সাগরে চলাচল করে।
মৎস্য দফতরের কর্মকর্তারা জানান, সাগরে নৌযান চলাচল নিয়ে বেশ কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। সেসব বিধিনিষেধ মানছে না অনিবন্ধিত নৌযানগুলো। বিশেষ করে সাগরের তীর থেকে ১০ মিটারের মধ্যে মাছ ধরায় বিধিনিষেধ আছে। এ স্থানকে মাছের প্রজনন স্থান বলা হয়। নিবন্ধিত নৌযানগুলো এ বিধিনিষেধ মানলেও অনিবন্ধিত নৌযানগুলো বিধিনিষেধ মানছে না। ফলে সেগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয়া যায় না। এ কারণে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে।
Posted ৬:৪৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৮ জুলাই ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin