নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
প্রভাষক ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহজালাল তালুকদার পারভেজ হত্যা মামলায় কিলার সাব্বিরসহ দুই আসামিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) বগুড়া শহর এবং রাজশাহী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার হয়েছে। গ্রেফতার আসামিরা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় র্যাব-১২ বগুড়া কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান কোম্পানি কমান্ডার (পুলিশ সুপার) মীর মনির হোসেন।
গ্রেফতার তন্ময় ওরফে কিলার সাব্বির (২৮) বগুড়া সদরের বৃন্দাবনপাড়া এলাকার মৃত তুহিন মিয়ার ছেলে। তাকে রাজশাহীর সদর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার অপর আসামি, আল আমিন (২৬) শহরের শিববাটি কালিতলা এলাকার মৃত ইউসুফ আলীর ছেলে। তাকে কালিতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে, গত ২ সেপ্টেম্বর শাজাহানপুরের আশেকপুর ইউনিয়নের মাথাইল চাপড় এলাকায় পূর্ব শত্রুতার জেরে পারভেজকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরদিন ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, শাজাহানপুর উপজেলার সাবরুল এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাগর তালুকদার ও তার লোকজন দীর্ঘদিন ধরে সাবরুল বাজার ও পারভেজকে প্রাণনাশের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখাচ্ছিলো। ২ সেপ্টেম্বর সকালে বাসা থেকে বের হয়ে মোটরসাইকেলে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে মাথাইল চাপড় এলাকায় সাগর তালুকদারের সন্ত্রাসী বাহিনী তার পথরোধ করে হাসুয়া, রামদা দিয়ে হামলা করেন। তাদের হামলা থেকে বাঁচতে পাশের সুমনের বাড়িতে আশ্রয় নেন পারভেজ। কিন্তু সেখানেও গিয়ে কুপিয়ে তার হাত বিচ্ছিন্ন করেন। পরে পারভেজের চিৎকারে লোকজন জড়ো হলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যান। পরে পারভেজকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মামলার পরপরই পুলিশ রুকসানা আক্তার ও উজ্জ্বল (৪০) নামে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে একজন সাগরের বোন ও অপরজন চাচা।
প্রেস ব্রিফিংয়ে র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার মীর মনির হোসেন বলেন, পারভেজ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই র্যাব কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকেলে রাজশাহীর সদর উপজেলা এলাকা থেকে সাব্বিরকে গ্রেফতার করা হয়। সাব্বির সেখানে ছদ্মনাম (তৌফিক) নিয়ে আত্মগোপনে ছিলেন। আর আল আমিনকে বগুড়া কালিতলা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আল আমিন এজাহার নামীয় আসামি না। হত্যা মামলা তদন্ত করতে গিয়ে আমরা আল আমিনের জড়িত থাকার বিষয়টি জানতে পারি। আল আমিনকে গ্রেফতারের সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সিএনজিচালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করা হয়।
Posted ৬:৩৯ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin