নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস আজ ১০ অক্টোবর (মঙ্গলবার )। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে এই দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিবাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘স্ক্রিনিং জীবন বাঁচায়’।
বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামসহ সামাজিক সংগঠনগুলো আজ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবসে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এ উপলক্ষে আইইডিসিআর (পুরাতন স্বাস্থ্য অধিদফতর সংলগ্ন) নতুন মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও একই সঙ্গে স্তন ক্যান্সার সচেতনতায় বিশেষ ভূমিকা রাখার জন্য ঢাকার ১০ জন সাংবাদিককে কৃতজ্ঞতা স্মারক দেওয়া হবে। পরে বেলা ১১টায় বৃহত্তর ময়মনসিংহের ৬টি জেলা অভিমুখে ‘গোলাপী সড়ক শোভাযাত্রা’ উদ্বোধন করা হবে।
ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান সমন্বয়কারী অধ্যাপক হাবিবুল্লাহ তালুকদারের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি টিম গোলাপী সাজে সজ্জিত একটি বাসে রওনা দেবেন বৃহত্তর ময়মনসিংহের পথে। টানা ৪ দিনে ৬টি জেলা ও প্রায় ১০টি উপজেলায় পথসভা, শোভাযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ করা হবে। এই টিমে চিকিৎসক ছাড়াও ক্যান্সার সারভাইভার, সংগঠক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও সাংবাদিকরা অংশ নেবেন।
গ্লোবোক্যান এর তথ্য অনুযায়ী, নীরব ঘাতক স্তন ক্যান্সার। প্রতি বছর বাংলাদেশে প্রায় ১৩ হাজার নারী নতুন করে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। মারা যান প্রায় আট হাজার। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুহার অত্যন্ত উদ্বেগজনক।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সচেতনতার অভাবে স্তন ক্যানসার শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই আক্রান্তের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি মৃত্যুঝুঁকিও বাড়ছে। তবে, প্রাথমিক অবস্থায় ধরা পড়লে ৯০ শতাংশ প্রতিরোধ করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, স্তন ক্যানসার নিজে নিজেই শনাক্ত করা যায়।
দেশে ২০১৩ সালে স্তন ক্যানসার প্রতিরোধ নিয়ে কাজ শুরু করে ‘বাংলাদেশ স্তন ক্যানসার সচেতনতা ফোরাম’। ওই বছর ১ অক্টোবর চিকিৎসক ও সমাজসেবীদের পক্ষ থেকে প্রতি বছর ১০ অক্টোবর বাংলাদেশে এই দিবস পালনের ঘোষণা দেয়া হয়।
গত দশ বছর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফোরাম ও এর সদস্য সংগঠনগুলোর উদ্যোগে এই দিবস পালন করা হচ্ছে। এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, কর্মস্থল কিংবা এলাকাভিত্তিক সচেতনতা আলোচনা, শোভাযাত্রা ও বাংলায় লেখা তথ্যসমৃদ্ধ লিফলেট বিতরণ করা হয়। স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি ও সুরক্ষা, সূচনায় নির্ণয় ও স্ক্রিনিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এবার দেশজুড়ে এই দিবস পালিত হবে।
স্তন ক্যান্সারে আক্রান্তের কারণ সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বেশি বয়সে প্রথম সন্তান ধারণ করা অথবা নিঃসন্তান থাকা, সন্তানকে বুকের দুধ পান না করানো, বয়স ৩৫ বছরের ঊর্ধ্বে হলে, পরিবারের কারো স্তন ক্যান্সারের ইতিহাস থাকলে, দীর্ঘদিন ধরে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য পিল বা বড়ি খেলে, ১২ বছর বয়সের আগে প্রথম ঋতুস্রাব হলে অথবা ৫০ বছর পরে গিয়ে ঋতুস্রাব বন্ধ হলে নারীরা স্তন ক্যান্সার আক্রান্তের ঝুঁকিতে থাকে।
Posted ৬:১৮ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ অক্টোবর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin