নিজস্ব প্রতিবেদক | বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩ | প্রিন্ট
আগামী ১ নভেম্বর ঢাকা-খুলনা রুটে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে। অন্যদিকে পরদিন ২ নভেম্বর ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী বেনাপোল এক্সপ্রেস রুট পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করবে।
এর আগে সুন্দরবন ও বেনাপোল এক্সপ্রেস দুটি ট্রেনই ঢাকা থেকে যমুনা বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে চলাচল করতো।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (টিটি) শওকত জামিল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বঙ্গবন্ধু সেতু দিয়ে খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে চলাচলকারী ৭২৫/৭২৬ নম্বর সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট ১ নভেম্বর থেকে পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন পরিচালনা ও বেনাপোল-ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী ৭৯৫/৭৯৬ নম্বর বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনের রুট ২ নভেম্বর থেকে পরিবর্তন করে পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন পরিচালনার প্রস্তাব দুটি অনুমোদন করা হলো।
এ বিষয়ে বিধি মোতাবেক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশক্রমে প্রেরণ করা হলো।
খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে সুন্দরবন এক্সপ্রেস দৌলতপুর, নোয়াপাড়া, যশোর, মোবারকগঞ্জ, কোটচাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা, আলমডাঙ্গা, পোড়াদহ জং, কুষ্টিয়া কোর্ট, রাজবাড়ী, ফরিদপুর ও ভাঙা জংশন স্টেশনের মাঝে যাত্রা বিরতি করবে।
অন্যদিকে ঢাকা থেকে খুলনা যাওয়ার পথে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ভাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, কুষ্টিয়া কোর্ট, পোড়াদহ জং, আলমডাঙ্গা, চুয়াডাঙ্গা, দর্শনা, কোটচাঁদপুর, মোবারকগঞ্জ, যশোর, নোয়াপাড়া ও দৌলতপুর স্টেশনের মাঝে যাত্রা বিরতি করবে।
পদ্মা সেতু হয়ে ঢাকা থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত নতুন রেলপথ ১০ অক্টোবর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকার কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৬৯ কিলোমিটার রেললাইন নির্মিত হচ্ছে। এর মধ্যে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপে ঢাকা-মাওয়া ৪০ কিলোমিটার ও মাওয়া-ভাঙ্গা ৪২ কিলোমিটার রেলপথ উদ্বোধন করা হবে। এদিকে প্রকল্পের তৃতীয় অংশ ভাঙ্গা-যশোর ৮৭ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ কাজ ২০২৪ সালের জুনে শেষ হবে। এ অংশের কাজের অগ্রগতি হয়েছে ৭৮ ভাগ।
Posted ১:৫৯ পূর্বাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin