টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় বাগানে হাত-পা ও মুখ বাঁধা মরদেহটি অটোচালক আমিনুল ইসলামের বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সোমবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সখীপুর থানার এসআই ফজলুল হক। এর আগে, রোববার রাতে ফেসবুকের মাধ্যমে জানতে পেরে থানায় গিয়ে ছেলের মরদেহ শনাক্ত করেছেন বাবা আবদুল জলিল মিয়া।
নিহত আমিনুল ইসলাম উপজেলার কালিয়া ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আবদুল জলিল মিয়ার ছেলে। তিনি পেশায় অটোচালক।
নিহতের বাবা আবদুল জলিল মিয়া বলেন, প্রায় দুই বছর ধরে অটোরিকশা চালান আমিনুল। শনিবার বিকেলে অটোরিকশা নিয়ে বের হয়ে রাতে আর বাড়ি ফেরেনি। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। রোববার সারা দিন খোঁজাখুঁজির পর ফেসবুকের মাধ্যমে খবর পেয়ে থানায় যাই। সেখানে গিয়ে দেখতে পাই ছেলের মরদেহ।
তিনি আরো বলেন, ছিনতাইকারীরা আমার ছেলেকে হাত-পা বেঁধে খুন করে অটোরিকশাটি নিয়ে গেছে। আমার ছেলের হাত-পা ও মুখ যে কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল, ওইগুলো আমার নাতনির (আমিনুলের মেয়ে) পুরোনো ওড়নার কাপড়। অটোরিকশা পরিষ্কারের জন্য ওইগুলা গাড়িতেই রাখা ছিল। এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।
সখীপুর থানার ওসি শেখ শাহিনুর রহমান বলেন, মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জড়িতদের ধরতে কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
