শুক্রবার ১৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুমার নামাজ: আদায়ে যে লাভ, না করলে যে ক্ষতি

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

জুমার নামাজ: আদায়ে যে লাভ, না করলে যে ক্ষতি

মুসলিম উম্মাহর জন্য সপ্তাহের ঈদের দিন জুমার দিন বা শুক্রবার। ইসলামে এ দিনের মর্যাদা রয়েছে। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তাআলা সব দিনের মধ্যে জুমাবারকে শ্রেষ্ঠত্ব দিয়েছেন। আর তাই তো জুমার দিন তার দেওয়া দিনগুলোর মধ্যে শ্রেষ্ঠ।

জুমার নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পবিত্র কোরআনুল কারিমে বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا نُودِيَ لِلصَّلَاةِ مِن يَوْمِ الْجُمُعَةِ فَاسْعَوْا إِلَىٰ ذِكْرِ اللَّهِ وَذَرُوا الْبَيْعَ ۚ ذَٰلِكُمْ خَيْرٌ لَّكُمْ إِن كُنتُمْ تَعْلَمُونَ

فَإِذَا قُضِيَتِ الصَّلَاةُ فَانتَشِرُوا فِي الْأَرْضِ وَابْتَغُوا مِن فَضْلِ اللَّهِ وَاذْكُرُوا اللَّهَ كَثِيرًا لَّعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

উচ্চারণ: ‘ইয়াআইয়ুহাল্লাযীনা আ-মানূইযা-নূদিয়া লিসসালা-তি মিইঁ ইয়াওমিল জুমু‘আতি ফাছ‘আও ইলা-যিকরিল্লা-হি ওয়া যারুল বাই‘আ যা-লিকুম খাইরুল্লাকুম ইন কুনতুম তা‘লামূন’। (সূরা: জুমা, আয়াত: ৯)

উচ্চারণ: ‘ফাইযা- কুদিয়াতিসসালা-তুফানতাশিরূ ফিল আরদি ওয়াবতাগূমিন ফাদলিল্লা -হি ওয়াযকুরুল্লা-হা কাসিরাল লা‘আল্লাকুম তুফলিহূন’। (সূরা: জুমা, আয়াত:১০)

অর্থ: ‘হে মুমিনগণ! জুমার দিন যখন নামাজের জন্য ডাকা হয়, তখন আল্লাহর স্মরণের দিকে এসো। ক্রয়-বিক্রয় পরিত্যাগ কর, এটাই তোমাদের জন্য অতি উত্তম, যদি তোমরা জানতে! আর যখন নামাজ শেষ হয়, তখন জমিনে ছড়িয়ে পড়, আর আল্লাহর অনুগ্রহ সন্ধান কর। আল্লাহকে বেশি বেশি স্মরণ করতে থাক যাতে তোমরা সাফল্য লাভ করতে পার’। (সূরা: জুমা, আয়াত: ৯-১০)

আদায়ে যে লাভ, না করলে যে ক্ষতি

আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেন, ‘পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, এক জুমা থেকে পরবর্তী জুমা, এক রমজান থেকে পরবর্তী রমজান মধ্যবর্তী সময়ের পাপ মোচন করে; যদি সেই ব্যক্তি সব ধরনের কবিরা গুনাহ থেকে বিরত থাকে’। (মুসলিম হাদিস ২৩৩)

জুমার গুরুত্ব কোরআনের আয়াতের মাধ্যমেই বোঝা যায়। জুমার দিন আজান হলেই সব কাজ ছেড়ে মসজিদে চলে যাওয়ার হুকুম দিয়েছেন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন। এত গুরুত্বের পরও কেউ যদি জুমার নামাজ ছেড়ে দেয় তার জন্য কঠিন শাস্তি রয়েছে।

রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে (কোনো কারণ ছাড়া) ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা ওই ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিজি, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ)। আর এর পর তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতঃপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)

চার শ্রেণির লোক ব্যতীত জুমার নামাজ ত্যাগ করা কবিরা গুনাহ। চার শ্রেণির লোক হলো: ক্রীতদাস, স্ত্রীলোক, অপ্রাপ্তবয়স্ক বালক, মুসাফির ও রোগাক্রান্ত ব্যক্তি। (আবু দাউদ)।

যে জুমার পরিত্যাগ করে সে ইসলামকে অবমূল্যায়ন করল। হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) হতে বর্ণিত- তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা পরিত্যাগ করবে, সে ইসলামকে পেছনের দিকে নিক্ষেপ করল’। (মুসলিম)

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ৫:১৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]