বুধবার ৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে কর কাঠামো সহজ করতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক   |   সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট

বিদেশি বিনিয়োগ বাড়াতে কর কাঠামো সহজ করতে হবে

দক্ষিণ এশিয়ায় সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) খুবই কম। এফডিআই বাড়াতে এ অঞ্চলের দেশগুলোতে কর কাঠামো আরও সহজ করা দরকার। সেই সঙ্গে নিজেদের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি করে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। এতে ব্যবসা-বাণিজ্যে সম্ভাবনাময় এই অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগে উৎসাহিত হবেন।
গতকাল রোববার ঢাকার শেরাটন হোটেলে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত দু’দিনব্যাপী দক্ষিণ এশীয় অর্থনৈতিক সম্মেলনের শেষ দিন ভ্যালু চেইন এবং সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ নিয়ে একটি অধিবেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী নেতা  ও গবেষকরা। ভারতের ড. বিআর আম্বেদকর স্কুল অব ইকোনমিকসের (বিএএসই) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এন আর ভানুমূর্তি এতে সভাপতিত্ব করেন।

ড. এন আর ভানুমূর্তি বলেন, নব্বইয়ের দশকে বাণিজ্য বাড়াতে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলো গ্লোবাল ভ্যালু চেইনের সঙ্গে একীভূত হওয়ার সুবিধা পায়। এ সুবিধা কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিতে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর দুর্বলতা হচ্ছে গ্লোবাল ভ্যালু চেইনে মধ্যবর্তী ও মূলধনি পণ্য তুলনামূলকভাবে কম। তা ছাড়া পণ্য উৎপাদন খরচ কমিয়ে প্রতিযোগিতা বাড়াতে এসব দেশের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা তেমন দেখা যায় না। আগামীতে এ অঞ্চলের বাংলাদেশ, নেপাল এবং ভুটান স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বের হয়ে যাবে। এলডিসি-উত্তরণ পরবর্তী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দেশগুলো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ভ্যালু চেইনে অংশগ্রহণ বাড়াবে বলে আশা করেন তিনি।
আঙ্কটাডের তথ্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, ২০২২ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় এফডিআই আসে ৫ হাজার ৫৮৭ কোটি ডলার। এটি সারাবিশ্বের এফডিআই প্রবাহের মাত্র ৪ দশমিক ৩০। ভ্যালু চেইনের সুবিধা থাকায় আরও বেশি পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ আসা উচিত ছিল।

কিন্তু এই অঞ্চলে কার্যকর অর্থনৈতিক করিডোরের অভাব, প্রতিবেশীদের মধ্যে বিরোধ ও অবিশ্বাস, বাণিজ্য সুবিধা এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিতে ধীরে চলো নীতির পাশাপাশি কিছু অশুল্ক বাধার
কারণে দক্ষিণ এশিয়ায় আঞ্চলিক অর্থনৈতিক জোট গঠন সম্ভব হচ্ছে না। এসব বাধা কাটিয়ে উঠতে পারলে আরও বেশি পরিমাণে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্টের পাশাপাশি বিশ্ব অর্থনীতিতে একটি শক্তিশালী আঞ্চলিক জোট হিসেবে আত্মপ্রকাশের সুযোগ রয়েছে।

প্যানেল আলোচক হিসেবে অংশ নিয়ে ভারতের মণিপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. প্রিয়রঞ্জন সিং বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর নিজ নিজ ক্ষেত্রে যথেষ্ট অর্থনৈতিক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে এ অঞ্চলের উন্নয়ন সেভাবে হয়নি। আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়াতে সার্ক গঠিত হলেও তা এখন পর্যন্ত তেমন কাজে আসেনি। পরিবর্তিত বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে সার্কের আওতায় থাকা আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে ভারত-পাকিস্তানের রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকাও জরুরি।

Facebook Comments Box
advertisement

Posted ১২:২১ অপরাহ্ণ | সোমবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৩

ajkerograbani.com |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

আর্কাইভ

সম্পাদক ও প্রকাশক
মুহা: সালাহউদ্দিন মিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়

২ শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ সরণি, মগবাজার, ঢাকা-১২১৭। সম্পাদক কর্তৃক তুহিন প্রেস, ২১৯/২ ফকিরাপুল (১ম গলি), মতিঝিল, ঢাকা-১০০০ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত।

ফোন : ০১৯১৪৭৫৩৮৬৮

E-mail: [email protected]