নিজস্ব প্রতিবেদক | শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন রফিকুল হক। চাকরি করলেও প্রতারণাই তার মূল পেশা। কখনো সচিব, আবার কখনো বা কোনো নামীদামি প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পরিচয়ে করেন প্রতারণা।
অবশেষে মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মাসুক মিয়ার চৌকস ও বুদ্ধিমত্তার কাছে ধরা পড়লেন প্রতারক রফিকুল হক। শুক্রবার মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. মহসিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সিনিয়র সহকারী সচিব পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে মো. রফিকুল হক মিঞা (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মিরপুর মডেল থানার ওসি আরো বলেন, বৃহস্পতিবার রাতে মিরপুর ২ নাম্বার সেকশনের পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনারের (মিরপুর জোন) অফিসে থেকে রফিকুল হককে গ্রেফতার করা হয়। রফিক মিরপুর মধ্য পীরেরবাগ এলাকার মো. শামছুল হক মিঞার ছেলে।
তিনি জানান, রফিক একজন প্রতারক। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও নিজেকে পরিচয় দেন সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে। ৩৫তম বিসিএস পাশ করে তিনি বর্তমানে ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারে উপ পরিচালক পদে আছেন বলেও দাবি করেন। এ পরিচয়ে তিনি ভিজিটিং কার্ডও ছাপান। থানায় কোনো প্রয়োজন হলে তার ভিজিটিং কার্ড দেখালে ‘কাজ হয়ে যাবে’ বলে সবাইকে বলেন।
তার এমন কথা বিশ্বাস করেই গতকাল রাতে সেই ভিজিটিং কার্ড নিয়ে মিরপুর জোনের অতিরিক্ত উপ কমিশনার মাসুক মিয়ার কাছে আসেন আনু মিয়া। কার্ড দেখে রফিকের পরিচয় নিয়ে সন্দেহ হলে তাকে চা খাওয়ার দাওয়াত দিয়ে অতিরিক্ত উপ কমিশনারের অফিসে ডাকা হয়। আসার পর তার পরিচয়, কর্মস্থলসহ বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অসংলগ্ন কথা বলা শুরু করেন। পরে তার কথিত কর্মস্থলে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান এই নামে কেউ নেই। এক পর্যায়ে রফিকুল হক মিথ্যা পরিচয়ে প্রতারণার কথা স্বীকার করেন।
এদিকে রফিকুল হকের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. মহসিন।
Posted ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin