নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, বস্তিতে বসবাসকারী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার জন্য প্রতি বছর ডিএনসিসির পক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে। এছাড়া পুনর্বাসন ব্যতীত কোনো বস্তি উচ্ছেদ হবে না। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
বুধবার রাজধানীর গুলশানে ডিএনসিসির নগর ভবনে ইউএনডিপির সহযোগিতায় আয়োজিত ‘জলবায়ু উদ্বাস্তু নিয়ে ঢাকা উত্তরের চ্যালেঞ্জ ও সমাধান’ বিষয়ক পলিসি ডায়ালগে এসব কথা বলেন তিনি।
মেয়র আতিক বলেন, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সমস্যাগুলো জানার জন্যই এ পলিসি ডায়ালগের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আগত জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সব সমস্যা জলবায়ু সম্মেলনে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরবো। জলবায়ু সম্মেলনে বিশ্বনেতা ও বিশ্বের মেয়রদের কাছে আমাদের আবাসন, শিক্ষা, সুস্থ বায়ু, সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশের ব্যবস্থা করার দাবি তুলে ধরতে দিতে চাই।
তিনি আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবনমান নিশ্চিতে সরকার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। তাই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিএ আসার আহ্বান জানাবো। যাদের জন্য লবণাক্ত পানির উচ্চতা বেড়ে উপকূলের জনজীবন বিপন্ন, মিঠা পানির স্তর নিচে নেমে গেছে তাদেরই এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের দ্বায়িত্ব নিতে হবে।
ডিএমসিসি মেয়র বলেন, এখন আমরা কড়াইল, ভাসানটেক, সাততলাসহ সব বস্তির উন্নয়ন করবো। সব বস্তিতে খেলার মাঠ, পার্ক ও বিদ্যালয় থাকবে। আগামী দুই বছরে দুই লাখ গাছ লাগাবো। সম্প্রতি সাততলা বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসিয়েছি। যাতে আগুন লাগলে বস্তিবাসী নিজেরাই আগুন নেভাতে পারে। সাততলা বস্তিতে আরো ৫টি, কড়াইল ও ভাসানটেক বস্তিতে ১০টি করে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির সহকারী নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ববি, ইউএনডিপি বাংলাদেশের ডেপুটি আবাসিক প্রতিনিধি সোনালী দয়ারত্ন, ব্রিটিশ হাইকমিশনের জলবায়ু ও পরিবেশ বিষয়ক টিম লিডার অ্যালেক্স হার্ভে, ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম রেজা, ইমেরিটাস অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, কীটতত্ত্ববিদ অধ্যাপক ড. কবিরুল বাশার, স্থপতি সালমা এ শফি প্রমুখ।
Posted ৪:২৮ অপরাহ্ণ | বুধবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin