নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩ | প্রিন্ট
আজ থেকে আগামী ৪ দিন প্রতিদিন সকাল ৮ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত দেশের সব ইপিআই টিকাদান কেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রগুলোয় ৬ মাস বয়সী থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুকে ভিটামিন-এ প্লাস (নীল ও লাল রঙের ক্যাপসুল) খাওয়ানো হবে। এবারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ ৮৯ হাজার ৫ শত শিশুর ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো নিশ্চিত করা। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৭ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ শিশুকে নীল রঙের এবং ১১-৫৯ মাস বয়সী ২ কোটি ৩০ লাখ ২ হাজার শিশুকে লাল রঙের ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
মঙ্গলবার সকালে শিশুদের জন্য ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে রাজধানীর মহাখালীতে নিপসম সেন্টারে আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শিশুদেরকে ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে সভায় তিনি বলেন, টিকাদানে বাংলাদেশ বিশ্বে রোল মডেল। টিকাদানে আমাদের সফলতা বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। করোনার সময়েও বাংলাদেশ একদিনে ১ কোটি ২০ লাখ মানুষকে টিকা দিয়ে বিশ্বে আলোচিত হয়েছে।
ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। এবার ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য আমরা ২ কোটি ৪০ লাখ শিশুকে টার্গেট করেছি। এ জন্য আমাদের প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টিকাদান কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই টিকাদান প্রক্রিয়ায় এবার ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ও ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে।
এই টিকা খাওয়াতে কেউ যেন গুজবে কান না দেয় সেজন্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল একেবারেই নিরাপদ এবং অত্যন্ত উপকারী। ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের অন্ধত্ব দূর করার পাশাপাশি বামনত্ব প্রতিরোধ করে। এই টিকা দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সব ধরনের মৃত্যুহার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে এবং হাম, ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়াজনিত কারণে মৃত্যু রোধ করে। সুতরাং এই টিকা জাতীর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য দেশের সকল ৬-৫৯ মাস বয়সী শিশুকে খাওয়াতে হবে। টিকা খাওয়াতে শিশুদেরকে ভরাপেটে নিয়ে আসতে হবে। ৬ মাসের কম বয়সী ও ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুকে এই টিকা খাওয়ানো যাবে না।
স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে সভায় আরো বক্তব্য রাখেন- স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক এবিএম খুরশীদ আলম, পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু এনডিসি, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের মহাপরিচালক অধ্যাপক টিটু মিয়া, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক আহমেদুল কবীরসহ অন্যান্য বক্তারা।
Posted ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৩
ajkerograbani.com | Salah Uddin