নিজস্ব প্রতিবেদক | বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
পল্লী চিকিসৎক ওমল কুমার রায়। তার বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছেন ১০ থেকে ১৫ জন নারী-পুরুষ। তারা সবাই বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে এসেছেন। আর ওমল কুমার রায় একটি ছোট ঘরে বসে রোগীদের দেখছেন। তার কক্ষ থেকে অনেকেই ওষুধের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বের হচ্ছেন আবার কাউকে তিনি নিজেই ওষুধ দিচ্ছেন। রোগী দেখার বিপরীতে কারো কাছ থেকে নিচ্ছেন নামমাত্র ১০ টাকা ফি আবার কারো কাছ থেকে কোনো ফিও নিচ্ছেন না। দিচ্ছেন ফ্রি ওষুধও। এভাবে ৩০ বছর ধরে মাত্র ১০ টাকায় চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
পল্লী চিকিসৎক অমল কুমার রায়ের গ্রামের বাড়ি নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার বিলাশবাড়ী ইউনিয়ের কটকবাড়ী গ্রামে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, অমল কুমার রায়ের বাড়ির সামনে জড়ো হয়েছেন ১০ থেকে ১৫ জন নারী-পুরুষ। তারা সবাই বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা নিতে এসেছেন। আর ওমল কুমার রায় একটি ছোট ঘরে বসে রোগীদের দেখছেন। তার কক্ষ থেকে অনেকেই ওষুধের ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বের হচ্ছেন আবার কাউকে তিনি নিজেই ওষুধ দিচ্ছেন। রোগী দেখার বিপরীতে কারো কাছ থেকে নিচ্ছেন নামমাত্র ১০ টাকা ফি আবার কারো কাছ থেকে কোনো ফিও নিচ্ছেন না। দিচ্ছেন ফ্রি ওষুধও।
পল্লী চিকিৎসক অমল কুমার রায় জানান, ছোট বেলা থেকেই তার ইচ্ছে ছিল ডিগ্রিধারী বড় চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবেন। কিন্তু অর্থের অভাবে সেই স্বপ্ন তার পূরণ হয়নি। তবে থেমে থাকেননি তিনি। নিজের চেষ্টায় বিএ পাস করে এক এমবিবিএস ডাক্তারের শরণাপন্ন হন। সেখানে ৫ বছর সহকারীর কাজ করে চিকিৎসার প্রাথমিক ধারণা নেয়। পরে ৬ মাসের আরএমপি কোর্স সম্পন্ন করে নিজ গ্রামে শুরু করেন চিকিৎসাসেবা। এভাবেই ৩০ বছর ধরে নামমাত্র ১০ টাকায় চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশ, বাতব্যাথা, প্যারালাইসিস, আঘাত লাগা, শ্বাসকষ্ট, চুলকানিসহ ছোটখাটো প্রায় সব ধরনের চিকিৎসা করেন। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ১০০ থেকে ১৫০ জন রোগী দেখেন তিনি। নামমাত্র ১০ টাকা ফি নেন রোগীদের কাছ থেকে। আবার কোনো রোগীর কাছে টাকা না থাকলে রোগীদের কিছু জরুরি ওষুধ বিনামূল্যে দেন। এমনকি খুব দরিদ্র হলে ফ্রি ওষুধ ও বাড়ি যাওয়ার ভাড়াও দিয়ে দেন। তার এই চিকিৎসা সেবায় অনেকেই ভালো হন এবং উপকৃত হন। তাই আজীবন এভাবেই মানুষকে সেবা দিতে চাই।
চিকিৎসাসেবা নিয়ে আসা ফুলবানু বলেন, আমি অসুস্থ। অনেক ডাক্তার দেখিয়েছিলাম কিন্তু অসুখ ভালো হয়নি। পরে ওমল ভাইয়ের এখানে এসে ১০ টাকা দিয়ে চিকিৎসা নিয়ে ভালো আছি। আজকে আবার এসেছি।
আরেক রোগী আজিজুল হোসেন বলেন, একটি দুর্ঘটনায় আমার পায়ের সমস্যা হয়। রাজশাহীতে একটা বড় ডাক্তার দেখায় কিন্তু অনেক টাকার কথা বলে। পরে ওখান থেকে চলে আসার পর মানুষের কাছ থেকে শুনে ওমল ডাক্তারের কাছে এসেছি। তার দেওয়া ওষুধ খেয়ে অনেক আরাম পেয়েছি।
Posted ৯:০৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin