নিজস্ব প্রতিবেদক | মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ | প্রিন্ট
পল্টন থানার তিন ও রমনা থানার দুই মামলায় বিএনপির মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন রমনা থানার দুই মামলায় এবং অপর ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী পল্টন থানার তিন মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখান। বিকেলে এসব মামলায় জামিন শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।
সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জহির উদ্দিন স্বপনের আইনজীবী অ্যাডভোকেট শেখ শাকিল আহমেদ রিপন।
এর আগে, এসব মামলায় গ্রেফতার দেখানোসহ জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ।
এদিকে, নতুন এ পাঁচ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আগে আরো দুইটি মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট সাত মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে তাকে। এর মধ্যে কোনো মামলাতেই এখন পর্যন্ত জামিন মেলেনি তার।
গত ২ নভেম্বর জহির উদ্দিন স্বপনকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর ২৮ অক্টোবরের সংঘর্ষে পুলিশ হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে উপস্থিত করা হয়৷ এ মামলায় স্বপনকে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। ঐদিন শুনানি শেষে আদালত তাদের ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
এরপর ২৭ নভেম্বর পিস্তল ছিনতাই ও পুলিশের মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ভাঙচুরের অভিযোগে রাজধানীর পল্টন থানার মামলায় আদালতে স্বপনকে হাজির করা হয়৷ এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল হাই তাকে গ্রেফতার দেখানোসহ পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল ও আসামির জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তার জামিন নামঞ্জুর করে দুইদিনের রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন।
জানা গেছে, পুলিশ কনস্টেবল হত্যার ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাসুক মিয়া বাদী হয়ে হত্যা মামলা করেন। মামলায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে প্রধান আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাসহ ১৬৪ জনকে আসামি করা হয়।
এ মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন- মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, রুহুল কবির রিজভী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আব্দুস সালাম, নিপুণ রায়, আমিনুল হক, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
মামলার এজাহারে বলা হয়, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে শনিবার পল্টন থানার কালভার্ট রোডের পূর্বপ্রান্তে বাদীসহ অন্য পুলিশ সদস্যরা দায়িত্বরত ছিলেন। বেলা পৌনে ৩টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ‘হাজার হাজার’ নেতাকর্মী তাদের ওপর হামলা করে। ইটপাটকেলের আঘাতে এডিসি (ডিবি-ওয়ারী জোন) ইলিয়াছ হোসেন, কনস্টেবল আমিরুল হকসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ আহত হন।
সেসময় আমিরুল হক ‘আত্মরক্ষার্থে’ ডিআর টাওয়ারে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে রাস্তার ওপর ফেলে এলোপাতাড়ি ইট, লাঠি দিয়ে মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে। তাতে আমিরুল গুরুতর রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকেন। তখন পুলিশ টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। আমিরুলকে পরে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
Posted ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪
ajkerograbani.com | Salah Uddin